ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ভোলায় ৪ সংসদীয় আসনে আ’লীগ প্রার্থীরা জয়ী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
ভোলায় ৪ সংসদীয় আসনে আ’লীগ প্রার্থীরা জয়ী ভোলার বিজয়ী চার আওয়ামী লীগ প্রার্থী

ভোলা: ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- ভোলা-১ সদর আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ, ভোলা-২ আসনে আলী আজম মুকুল, ভোলা-৩ আসনে নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন ও ভোলা-৪ আসনে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

 

ভোলা-১ (সদর) আসনে ১১৩টি ভোটকেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে নৌকার প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ দুই লাখ ৪২ হাজার ২১৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর সাত হাজার ২২৪ ভোট পেয়েছেন। তোফায়েল আহমেদ এ নিয়ে ৮ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হলেন।

ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন-দৌলতখান) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল পেয়েছেন দুই লাখ ২৬ হাজার ১২৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাফিজ ইব্রাহিম পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৯৯ ভোট। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আ. কুদদুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুকুল দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।

ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের বেসরকারি ফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন দুই লাখ ৫০ হাজার ৪১১ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মোসলে উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন চার হাজার ৫৫ ভোট। এখানে বিএনপি প্রার্থী মেজর অব হাফিজ উদ্দিন পেয়েছেন দুই হাজার ৫০২ ভোট।

ভোলা-৪ (চরফ্যাশন-মনপুরা) আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব পেয়েছেন দুই লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মহিবুল্লাহ পেয়েছেন ছয় হাজার ২২২। এখানে বিএনপির নাজিম উদ্দিন আলম পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৭ ভোট। এ নিয়ে আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন।

ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের চারজন, বিএনপির চারজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চারজন, জাতীয় পার্টির দুইজন ও সিপিবির এক প্রার্থীসহ মোট ১৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

জেলার ৪৭৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২৯টি কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ছিলো। সেখানে ভোটার ছিলো ১২ লাখের অধিক।

সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে নারী ও পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। তবে দুপুরের পর কিছুটা ভোটারদের উপস্থিতি কমতে থাকে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।