ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনে ‘জঙ্গি তৎপরতা-টার্গেট কিলিং’র আশঙ্কা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮
নির্বাচনে ‘জঙ্গি তৎপরতা-টার্গেট কিলিং’র আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বৈঠক। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যেতে পারে। একইসঙ্গে বড় নেতাদের টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনাও ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বৈঠকে বিষয়গুলো ওঠে আসে।

বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক, র‌্যাব, বিজিবি, আনসার, কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি এবং আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, বৈঠক  নির্বাচন কমিশনের পক্ষে থেকে বলা হয়, নির্বাচনকে ঘিরে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে বড় নেতাদের টার্গেট করে কিলিংয়ের শঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি মোকাবেলায় এখনই প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।

নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাবরোধে মোবাইল ব্যাংকিং নির্বাচনের তিন দিন আগে থেকে বন্ধ রাখার জন্য বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কাউকে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার প্রস্তাবও করা হয়।
 
সশস্ত্র বাহিনী থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ওপর বিশেষ নজর দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এক্ষেত্রে পুলিশ, প্রশাসন ও সশস্ত্র বাহিনীর সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ এগিয়ে নেওয়ার কথাও উঠে আসে।  

বৈঠকে প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী যেকোনো নির্দেশনা মেনে কাজ করতে প্রস্তুত। এক্ষেত্রে তারা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে হলেও তৎপরতা বাড়াতে চান।
 
সূত্র আরও জানায়, বিভিন্ন সোর্স থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানতে পেরেছে নির্বাচনের দিন পুলিশকে অযথা ফোন করে ব্যস্ত রাখবে এবং বিভ্রান্ত করে সুযোগ নেবে একটি বড় রাজনৈতিক দল। এক্ষেত্রে পুলিশ নির্বাচন কমিশনকে জানায়, নির্বাচনের দিন তারা খুব বেশি ফোন ধরবে না।
 
এছাড়া ভোটকেন্দ্রে দুইজনের পরিবর্তে একজন পুলিশ সদস্য মোতায়েনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে যুক্তি হিসেবে সংস্থাটি দেখায়, অন্যজনকে ভ্রাম্যমাণ টিমে রাখা হবে।
 
অন্যদিকে ভোটের দিন ইন্টারনেটে গতি কমানো, বৈধ অস্ত্র রাখা গেলে প্রদর্শন করার সুযোগ না দেওয়া এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলা নিয়েও আলোচনা হয়।
 
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আগতদের বক্তব্য শুনে সতর্ক থেকে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেন। কোনোভাবেই যেন ২০১৪ সালের পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে সব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন। এছাড়া নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সংবিধান মেনে বিবেক অনুযায়ী কাজ করার নির্দেশনা দেন।

৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। গত ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা প্রচারণায় নেমেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
ইইউডি/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।