ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

প্রচারণায় মন্ত্রী-এমপিদের ছাড়তে হবে সরকারি সুবিধা 

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
প্রচারণায় মন্ত্রী-এমপিদের ছাড়তে হবে সরকারি সুবিধা  প্রতীকী ছবি

ঢাকা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মন্ত্রী-সংসদ সদস্য (এমপি) ও সরকারি সুবিধাভোগীরা যাতে সরকারি সুবিধা নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক তথা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য বুঝিয়ে দিতে নির্বাচন ভবনে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) একটি কর্মশালার আয়োজন করে। দিনব্যাপী সেই কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন জেলা প্রশাসকরা।

তারা নির্বাচনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় জানতে চান। নির্বাচন কর্মকর্তাদের পাশপাশি নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম তাদের নির্দেশনা দেন।
 
বৈঠকের একাধিক সূত্র বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন। সূত্রগুলো জানায়, জেলা প্রশাসকদের একটি সাধারণ প্রশ্ন ছিল- ক্ষমতাসীনদের কীভাবে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ডের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে তাদের নির্বাচনী আচরণবিধিতে উল্লেখিত করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
 
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশ্যে বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তাকেই নির্বাচনকালীন সব ক্ষমতা দিয়েছে আইন। তাই আইনে যা বলা আছে তা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারে যারা রয়েছেন বিশেষ করে মন্ত্রী-এমপি তথা সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যারা আছেন, তারা যেন প্রটোকল বা সরকারি সুবিধা (গাড়ি বা অন্যান্য) নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম বা প্রচারণা চালাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে।
 
নির্বাচনী আচরণ বিধি অনুযায়ী, সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে, প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বোঝানো হয়েছে।
 
বিধিমালায় বলা হয়েছে- সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশ করার সময় পর‌্যন্ত বোঝানো হয়।
 
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার জন্য তার প্রটোকল নিয়ে প্রচারণা চালাতে পারবেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য হিসেবে অন্য একটি আইনে তাকে প্রটোকল দেওয়ার বিধান রয়েছে।
 
রির্টানিং কর্মকর্তাদের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের সহায়তা করার বিষয়টিও ব্যাখা করেন ইসির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। তাদের বলা হয়- যেন সাংবাদিকদের যথাযথ সহায়তা করা হয়। এছাড়া ভোটারদের নিরাপত্তা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও সভায় আলোচনা হয়। ব্যাখা দেওয়া হয় মনোনয়নপত্র দাখিল-বাছাইয়ে তাদের করণীয় কী হবে সে সম্পর্কে।
 
ইসি ঘোষিত পুনঃতফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলে শেষ সময় ২৮ নভেম্বর। বাছাই ২ ডিসেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৮
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।