ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম ‘টেস্টেড’ নয়, ধীরে ধীরে ব্যবহারে পরামর্শ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৮
ইভিএম ‘টেস্টেড’ নয়, ধীরে ধীরে ব্যবহারে পরামর্শ

ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য এখনো ‘টেস্টেড’ নয়। তাই ধীরে ধীরে আস্থা অর্জনের পর ইভিএম ব্যবহারে ওপর জোর দিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনাররা।

রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বুধবার (০৫ সেপ্টেম্বর) আয়োজিত আন্তর্জাতিক একটি সম্মেলন থেকে বেরিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ এবং এটিএম শামসুল হুদা।
 
আব্দুর রউফ বলেন, ইভিএম সম্পর্কে সাধারণ ভোটাররা জানেন না।

এটা সত্যি, টেকনোলজি আমরা রুখতে পারবো না। এটাকে সহায়ক শক্তি হিসেবেই ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু আগে থেকেই ভোট চুরি হবে, এমন ভাবলেও তো হবে না। আবার ৯৮ শতাংশ ভোটারের এ যন্ত্র নিয়ে ধারণাই নেই। তাই হাফ নলেজ, কোয়ার্টার নলেজ নিয়ে কথা বললেও হবে না। ইভিএম আস্তে আস্তে দিতে হবে।
 
শামসুল হুদা বলেন, ইভিএম টেস্টেড নয়। ২০১০ সালে আমরা এটার ব্যবহার শুরু করেছিলাম। আমাদের পরবর্তী কমিশন এটা কন্টিনিউ করতে পারেনি। এখন আবার করা হচ্ছে। আমরা তো ঠিক ছিলাম। আমাদের পরিকল্পনাও ছিল স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার করে আস্থা অর্জনের পর জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এটার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।
 
এদিকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন তারা। শামসুল হুদা বলেন- এখন তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই। তবে কি ধরনের সরকার হলে সবদল নির্বাচনে অংশ নেবে তা সরকারকেই নির্ধারণ করতে হবে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে সরকারকেই। একটা পথ বের করতে হবে।
 
আব্দুর রউফ বলেন, রাজনীতি যদি রাজার নীতি হয়, তা হলে তো সমস্যা। হতে হবে নীতির রাজা। নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দোষ দিয়ে লাভ কী? নির্বাচন নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নির্বাচন করতে হবে। সহায়তা করতে হবে। ইসি লাইনটা ঠিক করবে।
 
তিনি বলেন, নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র নেই। তাই অনাস্থা দিয়ে, দোষারোপ করলে নির্বাচন হবে না।
 
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে তারা ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া (ফেমবোসা) নবম সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ‍তারা। ২০১০ সালে এটিএম শামসুল হুদার উদ্যোগে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে ফেমবোসা। পর্যায়ক্রমে ২০১১ সালে পাকিস্তান, ২০১২ সালে ভারত, ২০১৩ সালে ভুটান, ২০১৪ সালে নেপাল, ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কা, ২০১৬ সালে  মালদ্বীপ এবং ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে সংস্থাটির বাৎসরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের নামের বর্ণনাক্রমে ঘুরে এসে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে ৯ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকায়।
 
ফেমবোসা নিয়ে এটিএম শামসুল হুদা বলেন, আমেরিকা, কানাডার কথা ভেবে লাভ নেই। তাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি আর আমাদের সংস্কৃতি এক নয়। তাদের মেথড আমরা আনলেই হবে। আমাদের আমাদের মতোই চিন্তা করতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই সাউথ এশিয়ার নির্বাচন কমিশনগুলোকে নিয়ে একটি সংস্থা গঠনের চিন্তা করেছিলাম। এতে আমাদের সমস্যা এবং অভিজ্ঞতাগুলো নিজেরা শেয়ার করলে যেন একটি সমাধানে পৌঁছা যায়। সে সময় ভারত ফেমবোসা গঠনে অনেক সহায়তা করেছিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।