ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৮
ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে ইভিএম-এর ফাইল ছবি

ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের লক্ষ্যে আইন সংশোধনের (গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-আরপিও) প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সোমবার (০৩ সেপ্টেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। মন্ত্রণালয়ের ভেটিংয়ের পর সংশোধনী প্রস্তাব যাবে ক্যাবিনেট বৈঠকে।

সেখানে অনুমোদন পেলে জাতীয় সংসদের আসন্ন অধিবেশনে সংশোধনীটি পাস হবে।

বর্তমান আরপিও অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কোনো বিধান নেই। আর নির্বাচন কমিশন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত করতে চাচ্ছে। ইভিএম অন্তর্ভুক্তি ছাড়াও আরপিও বাংলায় রূপান্তরসহ কয়েকটি সংশোধনী রয়েছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আরপিওতে ইভিএম ব্যবহারের বিধান অন্তর্ভুক্ত হলে সীমিত আকারে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে বলেছেন, আইন সংশোধন হলে, রাজনৈতিক দলের সমর্থন পেলে এবং সক্ষমতা অর্জন হলে সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে ২৫টি আসনে এই মেশিন ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।

সিইসি বলেছেন, আমরা যদি মনে করি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৫টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করবো। তবে এটা আমাদের ইচ্ছানুযায়ী নয়। ইভিএম ব্যবহার করা দৈবচয়ন পদ্ধতিতে।

সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে প্রকল্প প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে আছে। এই অর্থ দিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ইভিএম কেনার পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি। এই সংখ্যক ইভিএম দিয়ে ১০০ আসনে ভোট নেওয়া যাবে।

তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বড় পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করার সক্ষমতা নেই। কেননা, সব প্রক্রিয়া শেষে চীন থেকে যন্ত্রপাতি ক্রয় করে ইভিএম তৈরি করতে যে সময়ের প্রয়োজন তা ইসির হাতে নেই। আর এজন্য শহরে সীমিত পরিসরে ইভিএমে ভোট করার সুপারিশ রয়েছে সংশ্লিষ্ট টেকনিক্যাল কমিটিরও।

২০১০ সালে এটিএম শামসুল হুদার নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে ইভিএম তৈরি করে ভোটব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেন। ওই কমিশনের পরিকল্পনা ছিল স্থানীয় নির্বাচনে এই ভোটযন্ত্র ব্যবহার করে ভোটার আস্থা অর্জনের পর ২০১৯ সাল নাগাদ জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে। তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশনও এই যন্ত্র ব্যবহার করে। কিন্তু ২০১৩ সালে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ইভিএম বিকল হয়ে পড়লে তার কারণ উদ্ভাবন করা এবং সমাধান করতে পারেনি রকিব কমিশন। ফলে তারা এই যন্ত্র নষ্ট করে, নতুন করে ইভিএম তৈরি করে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়।

রকিব কমিশনের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান কেএম নূরুল হুদা কমিশন বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে নতুন করে ইভিএম তৈরি করে নেয়। এই ইভিএমের দাম পড়ছে বুয়েটের তৈরি ইভিএমের পাঁচগুণ। সিইসি বলেছেন, নতুন এই ইভিএম আগেরগুলোর চেয়ে উন্নত এবং এগুলো দিয়ে কারচুপি করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad