ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে ইভিএম সভা বর্জন ইসি মাহবুবের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়ে ইভিএম সভা বর্জন ইসি মাহবুবের

ঢাকা: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান রেখে নির্বাচনী আইন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছেন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার। তিনি বৈঠক বর্জনও করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ অাগস্ট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশনের মুলতবি বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে কমিশনার মাহবুব তালুকদারসহ অন্য কমিশনার এবং কমিশন সচিব হেলাল উদ্দিন আহমদ অংশ নেন।

সূত্র জানায়, সকাল ১১ টায় বৈঠক শুরু হলে আধা ঘণ্টা পরে কমিশনার মাহবুব তালুকদার বের হয়ে যান। এ সময় তিনি ইভিএম যুক্ত করে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাবে নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) দেন। পরে তার দফতরের একজন কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের পত্রগ্রহণ ও বিতরণ শাখায় নোট অব ডিসেন্টের একটি কপিও জমা দেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমিশনের সভা চলছিল। এর আগে গত ২৬ আগস্ট (রোববার) আরপিও সংশোধন বিষয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন সিইসি কেএম নুরুল হুদার সরকারি সফরে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কারণে বৈঠকটি শেষ না করে মুলতবি করা হয় এবং ৩০ আগস্ট বৈঠকের সময় নির্ধারণ করা হয়।

এ বিষয়ে মাহবুব তালুকদারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি। বর্তমানে তিনি তার কার্যালয়ে অবস্থান করছেন।

সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের জন্য আরপিও সংশোধনের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করে দেওয়া ‘নোট অব ডিসেন্টে’ মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘বিগত ২৬ আগস্ট আরপিও সংশোধনের জন্য কমিশন সভায় তিন ধরনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সেদিন দু’টি প্রস্তাব দিয়ে কেবল একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনার সীমাবদ্ধ রাখা হয়। পরবর্তীতে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কমিশন সভা মুলতবি করা হয়। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ইতিমধ্যে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে রাজনৈতিক দল ভোটারদের কাছ থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। ’

নোটে তিনি আরও লিখেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রথম থেকে বলে আসছেন রাজনৈতিক দলগুলো সম্মত হলে সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হবে। সরকারের পক্ষ থেকে স্বাগত জানালেও বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হয়েছে। তাই একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে অধিকতর আলোচনা করার প্রয়োজন ছিল। ’

‘এর আগে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দে ইভিএম ক্রয়ের নথিতে আমি ভিন্নমত প্রকাশ করেছিলাম। সম্প্রতি ইভিএমের জন্য যে প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে তাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৮২১ কোটি টাকা। কোনো কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার মুখে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার যেখানে অনিশ্চিত, সেখানে এমন বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে ক্রয় করা কতোটা যৌক্তিক?’ প্রশ্ন করেন ইসি মাহবুব।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৮
এসএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।