ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

প্রার্থীদের ইসি

সিটি ভোটে কারচুপি হলে ৭ বছরের কারাদণ্ড

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
সিটি ভোটে কারচুপি হলে ৭ বছরের কারাদণ্ড ইসি ভবন

ঢাকা: আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এক নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ভোট কারচুপি হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ইসির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়ে তা প্রার্থী ও তার কর্মী-সমর্থকদের অবহিত করার জন্য বলা হয়েছে। আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


  
নির্দেশনাটি দেওয়া হয়েছে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা ৭৭ বিধির (১) উপবিধি অনুযায়ী। এক্ষেত্রে ১১টি কারণে প্রার্থী ও তার সমর্থকদের ন্যূনতম ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।  
 
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে কোনো ব্যক্তি যদি কোনো মনোনয়নপত্র, ব্যালট পেপার বা ব্যালট পেপারের উপর সরকারি সিলমোহর ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত বা বিনষ্ট করেন; ইচ্ছাকৃতভাবে ভোটকেন্দ্র থেকে কোনো ব্যালট পেপার বের করে নিয়ে যান অথবা কোনো ব্যালট বাক্সের ভেতরে আইন অনুসারে ঢুকাতে পারবেন এমন ব্যালট পেপার ব্যতিত অন্য ব্যালট পেপার ঢুকান; ভোটকেন্দ্রের বাইরে কোনো ব্যালট পেপার বা ব্যালট পেপার বহি নিজ দখলে রাখেন বা জনসাধারণকে তা প্রদর্শন করেন; যথাযথ কর্তৃত্ব ব্যতিত কোনো ব্যক্তিকে ব্যালট পেপার সরবারহ করেন, ব্যালট পেপার বা ব্যালট বাক্স নষ্ট করেন, গ্রহণ করেন, খোলেন বা অন্য কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করেন অথবা কোনো সিলমোহর ভাঙেন; কোনো ব্যালট পেপার বা মার্কিং সিল জাল করেন; ভোটগ্রহণের পর পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করতে বাধার সৃষ্টি করেন; নির্বাচন বানচালের জন্য ভোটকেন্দ্র দখল, দখলের জন্য সহায়তা বা পরোক্ষভাবে সমর্থন করেন; ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দলিলপত্র সমর্পন করতে বাধ্য করলে বা যদি এমন কাজ করেন যা ভোটগ্রহণ, গণনা বা নির্বাচন সংক্রান্ত দলিলাদি সুশৃঙ্খলভাবে প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করেন; প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী, তার নির্বাচনী এজেন্ট বা পোলিং এজেন্টকে ভোটকেন্দ্র থেকে বিতাড়িত করেন এবং তাদের অনুপস্থিতিতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভোটগ্রহণে বাধ্য করেন; ভোট পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের বিতাড়িত করে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, ভোট সংক্রান্ত জিনিসপত্র এবং দলিলপত্র বলপূর্বক দখল করেন এবং তার ইচ্ছানুযায়ী তা অসৎভাবে ব্যবহার করেন; প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থক বা অন্যদের ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখেন তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
 
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রার্থী বা প্রার্থীর কর্মী সমর্থকের কেউ ওই নির্দেশনা না মানলে যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে ছয় মাস থেকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব। নির্বাচনে কারচুপি, অনিয়ম বা বাধা প্রদানকারীকে কোনো ছাড় না দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে ইসির। এক্ষেত্রে দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও এ আইনের বাইরে নয়। তারা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন এবং আইন অমান্যকারীদের রুখে দেবে। একই সঙ্গে নিজেরাও কোনো অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তার শাস্তি পাবে।
 
তিনি আরও বলেন, শুধু কারাভোগ নয়, নির্বাচনী কোনো অনিয়মের কারণে প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিলের ক্ষমতাও রয়েছে ইসির।  
 
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৮
ইইউডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।