ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ করার চেষ্টা করবে কমিশন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ করার চেষ্টা করবে কমিশন উপ-নির্বাচনী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান/ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, স্বল্প মেয়াদের হলেও আমাদের কাছে অন্যান্য নির্বাচনের মতো কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচনও সমান গুরুত্ব বহন করে। আমরা চেষ্টা করবো অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু আইনানুগ একটা নির্বাচন করতে, যা দিয়ে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবেন।

শুক্রবার (২০ জুলাই) দুপুরে কুড়িগ্রামের উলিপুরে এম এস স্কুল অ্যান্ড কলেজের হলরুমে উপ-নির্বাচনী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, আইনের মধ্যে থেকে আমরা সব সময় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই।

সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও অনেকে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আইনে আছে, যদি কোনো ভোট কেন্দ্রে কিছু ব্যালট ছিনতাই হয়ে যায় বা অঘটন ঘটে তাহলে সেসব কেন্দ্রে নির্বাচন বন্ধ করে রাখা। পরে ব্যালট পেপার উদ্ধার করে নির্বাচনী পরিবেশ হলে নতুন করে নির্বাচন করা।

কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনার প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। এজন্য প্রশাসনিক সব ধরনের সহয়তা আপনাদের দেয়া হবে।

গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলে যে প্রশ্ন উঠেছে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেখানে (গাজীপুর) যা ঘটেছে তা আইনানুগভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। আইনে যা আছে আমরা তা করেছি।
 
তিনি আরও বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে মানুষের যে চিন্তা হয়তো সে রকম সব সময় করতে পারবো না, তবে আমরা আইনানুগ নির্বাচন করব। আইনানুগ নির্বাচন করতে পারলে জনগণ তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে।
 
দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন রিটার্নিং অফিসার ও রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার জিএম সাহাতাব উদ্দিন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, জেলা নির্বাচন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম রাকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বি-সার্কেল আল মাহমুদ হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম মাঈদুল ইসলাম গত ১০ মে মৃত্যুবরণ করলে নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণা করেন। ২৫ জুলাই আসনটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মতিন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী অধ্যাপক ডা. আক্কাছ আলী সরকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৮
এফইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।