ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

পরোয়ানা ছাড়া গাজীপুর সিটির কাউকে আটকে নিষেধ ইসির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৮
পরোয়ানা ছাড়া গাজীপুর সিটির কাউকে আটকে নিষেধ ইসির গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে দলটির নেতাদের প্রচারণা (ফাইল ফটো)

গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জেসিসি) নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত নগরের কাউকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার এবং হয়রানি না করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

ইসির যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহম্মদ খান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে (এসপি) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২৬ জুন) নির্বাচন হবে ঢাকার পাশের এ সিটি করপোরেশনে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি হয়রানি ও গ্রেফতার বন্ধ করে সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে বিএনপির উচ্চ-পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে যে, নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার বাসিন্দা বা কোনো ভোটারকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করা যাবে না।

নির্বাচনে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত হয়ে লড়ছেন জাহাঙ্গীর আলম। আর বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. হাসান উদ্দিন সরকার। জাহাঙ্গীর আলম ও তার দল আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করলেও হাসান উদ্দিন সরকার ও তার দল বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, তাদের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি নতুন কৌশলে তাদের গ্রেফতার করে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে।

এদিকে রিমান্ড ও গ্রেপ্তার দেখানো সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের সমর্থক, এজেন্ট ও বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার না করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
 
গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধে হাসান উদ্দিন সরকারের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মাদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৫ জুন) এ রুল জারি করেন।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সানজিদ সিদ্দিকী ও এ কে এম এহসানুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (সিআইডি), মহানগর গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত কমিশনার, গাজীপুরের পুলিশ সুপার ও টঙ্গী-গাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, ২৫ জুন, ২০১৮/ আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা
আরএস/এইচএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।