ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

'যেটুকু আস্থা ছিল তাও নষ্ট করছে ইসি'

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
'যেটুকু আস্থা ছিল তাও নষ্ট করছে ইসি' আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও খন্দকার মোশাররফ হোসেন/ফাইল ছবি

ঢাকা: নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর যেটুকু আস্থা ছিল, সেটুকুও নষ্ট করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের আর কোনো স্পেস থাকছে না। যা থাকছে তা কেবল ক্ষমতা দখলের ব্যবস্থা।

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেছেন।  

আলোচনা সভাটি আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী দল।

এতে বিএনপি নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেল আলালও উপস্থিত ছিলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। সেগুলো আমলেই নিলনা নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জরুরি বৈঠক করল। বৈঠকটা হচ্ছে গাজীপুর, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয় সংসদ সদস্যদের (এমপি) প্রচারকাজে সুযোগ সৃষ্টির ওপর। এই রকম একটি প্রস্তাবনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে আলোচনা করবে, তা দেশের মানুষের ধারণাতেই ছিল না। আওয়ামী লীগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন এমপিদের প্রচারকাজে সুযোগ দিতে আচরণ বিধিমালা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মাধ্যমে নিজেদের প্রতি মানুষের যে আস্থাটুকু ছিল, তাও নষ্ট করছে ইসি। নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি যে আস্থাটুকু অবশিষ্ট ছিল, তাও চলে যাচ্ছে।

একই বিষয় নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন অন্য একটি আলোচনা সভায় বলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় এমপিদের সুযোগ দেওয়া আইন ও সংবিধান পরিপন্থি। নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই সুযোগ দেওয়া পরিকল্পনা করছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হবে।

আলোচনা সভাটি আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল।

মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে প্রস্তাবনা দিলাম। কিন্তু তারা ওইদিনই বলে দিলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই। আমরা চাই জগণের ভোটের প্রতি আস্থা আনতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করুন।

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। এছাড়া সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে নির্বাচন। আওয়ামী লীগ এসব চাইবে না। কিন্তু জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের বাধ্য করতে হবে। পাতানো, ভোটারবিহীন নির্বাচন আর এদেশে হতে দেওয়া হবে না। সরকার ভোটারবিহীন নির্বাচন করতেই খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সম্পর্কে ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হায়াৎ-মউত আল্লাহর হাতে। এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আমীর খসুর মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ক্ষমতা যখন মাথায় উঠে যায় তখন মানুষের কথাবার্তায় ভারসাম্য থাকে না। তখনই মানুষ উল্টাপাল্টা বলেন।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় এই দুই নেতা আরো বলেন, সরকার আবার ক্ষমতায় যাওয়ার নীলনকশা করছে। কিন্তু দেশের জনগণ সরকারের এই নীলনকশা আর বাস্তবায়ন হতে দেবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।