ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএমের বিপক্ষে, না ভোটের পক্ষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১৭
ইভিএমের বিপক্ষে, না ভোটের পক্ষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স

ঢাকাঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সুপারিশ করেছে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। একই সঙ্গে দলটি না ভোটের পুন:প্রবর্তন চেয়েছে।

বুধবার (৩০ আগস্ট) ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে দলটি এমন সুপারিশ করে। বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপ শেষে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি’র সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা ২৩টি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এসব সুপারিশ ইসি আমলে নেবে বলে প্রত্যাশা করি।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। এতে ৫০ শতাংশ আসন এলাকাভিত্তিক প্রত্যক্ষ ভোট ও বাকি ৫০শতাংশ আসনে ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদ সদস্য নির্বাচন হতে পারে। আবার তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন তদারকি সরকার গঠনে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রস্তাবও করেছি।

এছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে রাখা, ভোটার সংখ্যা অনুপাতে সংসদীয় আসন পুননির্ধারণ, প্রবাসীদের ভোটাধিকার, অনলাইন মনোনয়নপত্র জমা চালু, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের তৎপরতা বন্ধ, সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া প্রভৃতি সুপারিশও রয়েছে।

গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এবং ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে বসেছিল ইসি। এরপর গত ২৪ আগস্ট থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। ওইদিন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) এর সঙ্গে সংলাপ করার সময়সূচি ছিল। কিন্তু বন্যায় ত্রাণ দেওয়া কথা বলে সংলাপে আসেনি বিএনএফ।

২৮ আগস্ট (সোমবার) সকালে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল ও বিকেলে খেলাফত মজলিশের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি।

সংলাপে এ পর্যন্ত কয়েক ডজন সুপারিশ এসেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-সেনা মোতায়েন, না ভোটের প্রবর্তন, প্রবাসে ভোটারধিকার প্রয়োগ, জাতীয় পরিষদ গঠন, নির্বাচনের সময় সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া, রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন সময়ে ইসির অধীনে জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০,২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad