ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৫ জুন ২০২৫, ০৮ জিলহজ ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে এনআইডি বাধ্যতামূলক হচ্ছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২২, জুন ৩, ২০২৫
সরকারি নিয়োগের ক্ষেত্রে এনআইডি বাধ্যতামূলক হচ্ছে

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রকে (এনআইডি) অন্যান্য ডকুমেন্টের সঙ্গে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এজন্য জনপ্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আইনি কাঠামোর মধ্যেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (৩ জুন) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এসএম হুমায়ুন কবীর।

তিনি বলেন, আমারা যাদে এনআইডি সংশোধন করে থাকি এদের মধ্যে বিরাট একটি অংশ সরকারি চাকরিজীবী। আগে তারা ভাউচারের মাধ্যেম বেতন পেতেন। আইবাসের মাধ্যমে এনআইডি ভিত্তিতে বেতন পান। এটা তাদের রুটি রুজি, ভেতন ভাতা সন্তানাদিদের ভরণ-পোষণ ইত্যাদি জড়িয়ে আছে। আইবাসে বেতন হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনো কোনো অফিস এনআইডি ঠিক না হলে বেতন চিরজীবনের জন্য বন্ধ যাবে বলেছে। তখন তারা আইবাসে যায়, আইবাস থেকে তাদের অফিসে যায়, তারা বলে তাদের কিছু করার নেই। তখন তারা আমাদের কাছে আাসেন। আমাদের অফিস আসলেও অনেক সময় সরাসরি সংশোধন করা যায় না। অনেক সময় নিষ্কৃতিও দেওয়া যায় না।

হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা চাকরির ক্ষেত্রে যারা এনআইডিকে গুরুত্ব দেয়নি, তাদেরকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সংস্থাকে গতকাল ডেকেছিলাম। যে আলোচনা হয়েছে, যেহেতু বাধ্যতামূলকভাবে জনপ্রশাসন থেকে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিষয়টি আসেনি, তাই হয়তো এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আইনি কাঠামোর মধ্যে এলে এটা আর থাকবে না। যদিও এনআইডি আইনে এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক আছে, আইবাসেরও আছে। তাই সব সংস্থা যেন ভবিষ্যতে এনআইডি যেন অনুসরণ করে সেটা আমরা চেয়েছি। তারা বলেছেন, যাদের বেতন ভাতা আটকে গেছে যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষে বেতন ভাতার ব্যবস্থা করা যায়, সে উদ্যোগ নেওয়ার কথা তারা বলেছেন।

এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, যাদেরটা সহজে দেওয়া যায় সেগুলো আমরা সংশোধন করে দিই। যেগুলো করা যায় না, সেগুলোর ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করি। এটা আমাদের জন্য, দেশের জন্য এবং ভুক্তভোগী তাদের সবার জন্য সমস্যা। সভায় আগতরা উৎসাহিত হয়েছেন এবং বলেছে যে এটা আমাদের ফলো করা দরকার।

এনআইডি তাহলে নিয়োগের ক্ষেত্রে বাধাতামূলক করার জন্য জনপ্রশাসনের আইনের কাঠামোর মধ্যে আনা হবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অলরেডি একটা আইনি কাঠামোর মধ্যে আছে। জনপ্রশাসনের ক্ষেত্রে এসএসসি’র সনদ গুরুত্ব বেশি দেওয়া হয়। এনআইডি’র বিষয়ে জনপ্রশাসনের আইন যেটা সবাই ফলো করে, সেটার মধ্যে আনতে আমরা সেই উদ্যোগটা গ্রহণ করবো। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, যে সমস্ত অফিস বা প্রতিষ্ঠান-ধরেন স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ’ তাদের তো মিনিস্ট্রি থেকে এনআইডি আমলে নেওয়ার জন্য জানাতে হবে। তারা জানাবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ ২৭ মন্ত্রণালয়-সংস্থার সঙ্গে বৈঠকে করে নির্বাচন কমিশন। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিব আখতার আহমেদ। বৈঠকে এনআইডি বাধ্যতামূলক কেন করা দরকার তার পক্ষে আটটি যুক্তি তুলে ধরে ইসি।

আরও পড়ুন: সরকারি নিয়োগে এনআইডি আমলে নিতে ৮ যুক্তি ইসির

ইইউডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।