ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিল্লাল মিয়ার জয় 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বিল্লাল মিয়ার জয় 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে হেভিওয়েট দুই প্রার্থীকে হারিয়ে মো. বিল্লাল মিয়া (ঘোড়া প্রতীক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।  

শনিবার (৯ মার্চ) বিকেলে ভোট গণনা শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন অফিস।

 

ফলাফল অনুযায়ী, ঘোড়া প্রতীক নিয়ে মো. বিল্লাল মিয়া  পেয়েছেন ৭৪৩ ভোট।  

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও দুই বারের সাবেক পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন পেয়েছেন ৪৯০ ভোট। এছাড়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মো. শফিকুল আলম পেয়েছেন ১৩৩ ভোট।  

বিজয়ী বিল্লাল মিয়া ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। উপ-নির্বাচনে তিনি সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেওয়া না হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনকে ‘সমর্থন’ দেওয়া হয়। তবে বিজয়ী মো. বিল্লাল মিয়ার রাজনৈতিক কোনো পদ-পদবি নেই। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। হেভিওয়েট প্রার্থীদের হারিয়ে তিনি চমক দেখালেন।

এর আগে সকাল ৯টা থেকে ইভিএম পদ্ধতিতে জেলার নয়টি ভোটকেন্দ্রে ভোট শুরু হয়। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।  

এতে জেলার নয়টি উপজেলা, পাঁচটি পৌরসভা ও ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৮৪ জন জনপ্রতিনিধি। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৩৬৬ জন।

নাসিরনগর উপজেলায় ১৬৫ জন, সরাইল উপজেলায় ১১৯ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১০৪ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১৬১ জন, বিজয়নগর উপজেলায় ১২৯ জন, কসবা উপজেলায় ১৪৫ জন, আখাউড়া উপজেলায় ৮০ জন, নবীনগর উপজেলায় ২৮০ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৮৩ জন ভোটার ভোট দেন।  

২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তিনি দায়িত্বভার নেওয়ার এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। এতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।