ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

উত্তর খৈশাইরে থমথমে অবস্থা: নৌকা-কেটলি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
উত্তর খৈশাইরে থমথমে অবস্থা: নৌকা-কেটলি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৭

রূপগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ-১ রূপগঞ্জ আসনের উত্তর খৈশাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেটলি মার্কায় ভোট দেওয়ায় স্থানীয় এক যুবককে মারধর করে নৌকার সমর্থকরা। এর পরে নৌকা ও কেটলি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে গুলির ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষ থেমে গেলেও উত্তর খৈশাইরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

জানা যায়, রূপগঞ্জ আসনের সংসদীয় নির্বাচনের প্রার্থী শাহজাহান ভূইয়াকে ভোট দেওয়ায় বেলা ১১টায় মইজ উদ্দিন সরকারের ছেলে আক্তার হোসেনকে (৩০) মারধর করে আহত করে গাজী গোলাম দস্তগীরের সমর্থকরা। উত্তর খৈশাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রের ৫০ ফিটের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর উত্তপ্ত হয়ে ওই কেন্দ্রের পরিবেশ। তবে বিজিবির টহল গাড়ি এলে নৌকার সমর্থকরা স্থান ত্যাগ করে।  

এদিকে, দুপুর সোয়া ১২টায় গোলাম দস্তগীর গাজীর সমর্থকরা আরো একজন ভোটারকে ভোট দিতে বাধা দেয়। এতে পুনরায় পরিস্থিতি খারাপ হয়। উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় কেটলির ৬-৭ জন সমর্থক আহত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশও অ্যাকশনে যায়। বর্তমানে সংঘর্ষ থামলেও নির্বাচনী এলাকাটিতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।  

সাধারণ ভোটারদের জোরপূর্বক নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করার অভিযোগ এনে কেন্দ্রটির ভোট গ্রহণ স্থগিত করার আবেদন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাজাহান ভূঁইয়া। এ সংক্রান্ত একটি আবেদন কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার পোলিং এজেন্টদের বের হতে দিচ্ছেন না।

কেটলি প্রার্থীর এজেন্ট রফিক উল্লা বলেন, সকাল থেকে এই কেন্দ্রে সুষ্ঠভাবে ভোট হচ্ছে। কিন্তু নৌকার সমর্থকরা ভোটারদের আটকাতে মরামারি শুরু করে। বিজিবির টহল টিম এলে তারা কেন্দ্রের সামনে থেকে সরে যায়। টহল টিম চলে যাওয়ার পর তারা আবারো সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করে।

তিনি বলেন, এ কেন্দ্রে শাহজাহান ভূইয়ার ভোটার বেশি। তাই ইচ্ছাকৃতভাবেই তারা ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে হামলা চালায়। তবে তারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেনি। এখন আমাদের প্রার্থী ভোট স্থগিতের আবেদন করেছেন। তিনি আমাদের কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে বলেছেন। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার বের হতে দিচ্ছে না।  

কেটলির আরেক পোলিং এজেন্ট বলেন, ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক ভোটারের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় হাইজুল ইসলাম নামে একজন ভোটারের মাথা ফেটে গেছে। সাত্তার, সোহেল ও আল-আমিনসহ ৭-৮ জন হামলা করে। তিনি বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বরং তারা আমাদের ছত্রভঙ্গ করতে আমাদের ওপর ১০-১২ রাউন্ড গুলি করেছে।
 
এ প্রসঙ্গে প্রিজাইডিং অফিসার মো: আশরাফুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ভোট সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। হঠাৎ কেন্দ্রের বাইরে গণ্ডগোল হয়েছে। এতে নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না, প্রশাসন তদারকি করছে। কেটলি এজেন্টদের কেন বের হতে দেওয়া হচ্ছে না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যে কেউই বের হয়ে যেতে পারেন। তাতে কোনো বাধা নেই।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।