ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

নৌকার প্রার্থী পলকের ১১ কর্মীকে শোকজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
নৌকার প্রার্থী পলকের ১১ কর্মীকে শোকজ

নাটোর: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে জুনাইদ আহমেদ পলকের (নৌকা) ১১ জন কর্মীকে কারণ দর্শানোর দুটি নোটিশ দিয়েছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।  

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নাটোর-৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং পাবনার সহকারী জজ মোস্তফা কামাল এ দুটি শোকজ নোটিশ ইস্যু করেন।

নোটিশে সশরীরে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।  

জানা গেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলামের (ঈগল প্রতীক) কর্মী-সমর্থকদের হুমকি, প্রচার মাইক বন্ধ ও পোস্টার ছিড়ে ফেলার অভিযোগে জুনাইদ আহমেদ পলকের ১১ জন কর্মীকে শোকজ করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

অভিযুক্তরা হলেন- সিংড়া উপজেলার শোয়াইড় গ্রামের মো. মুকুল হোসেন, মো. কাশেম আলী, মো. জামাল হোসেন জাম্বু, মো. মজনু প্রাং, মো. শরিফ প্রাং, মো.শাহীন হোসেন, মকবুল হোসেন, মো. মুন্না, মো.সেতু সরদার, মো.আরাফাত, মো.রাশিদুল।

শোকজে উল্লেখ হয়, গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় ১২ নম্বর রামানন্দখাজুরা ইউনিয়নের শোয়াইড় বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল মার্কার মাইকিং কর্মী মো. মিন্টু আলী মাইকিং পরিচালনা করার সময় প্রতিপক্ষ জুনাইদ আহমেদ পলকের (নৌকা) কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে উক্ত ঈগল মার্কার মাইকিং কর্মীর ওপর হামলার উদ্দেশ্যে চড়াও হন এবং তাৎক্ষণিক মাইকিং বন্ধ না করলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। ঈগল মার্কার মাইকিং কর্মী প্রাণের ভয়ে তাৎক্ষণিক মাইকিং বন্ধ করে দেয়। এ সময় নৌকার সমর্থকরা ঈগল মার্কার মাইকিং কর্মীর ভ্যানে থাকা পোস্টারসহ বাজারে টাঙানো সমস্ত পোস্টার টেনে ছিড়ে ফেলেন এবং দ্বিতীয় বার মাইকিং করতে এলে কোনোরূপ সুযোগ না দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়।

আরেক শোকজে বলা হয়, গত ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে ৮ নম্বর শেরকোল ইউনিয়নের শেরকোল বাজারে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল মার্কার কর্মী মো. শামসুল ইসলাম, মো. নাজির উদ্দিন, মো. আসাদুজ্জামানসহ আরও অনেক নেতাকর্মী একটি ছামিয়ানা তৈরি করেন। উক্ত ছামিয়ানা আপনারা নৌকার কর্মী (উল্লিখিত ৮ জন) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জন ভেঙে দিয়েছেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল মার্কার কর্মী যারা ছামিয়ানা স্থাপন করেছিল তাদেরকে ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শন করেছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উক্ত কার্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৭৭ বিধি এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর ৬(১) (ক), ৭(২) ও ১১(৬) বিধির লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।  

এমতাবস্থায় উক্ত আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ৩টায় সশরীরে অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি বরাবর নৌকার কর্মীদের বিরুদ্ধে বেশকয়েকটি অভিযোগ দায়ের করেন স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রধান এজেন্ট কামরুল হাসান। আজ সরেজমিনে তদন্ত করে নৌকার কর্মীদের বিরুদ্ধে এসব শোকজ নোটিশ পাঠানো হলো।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।