ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ফুলে ফেঁপে উঠেছে রাজশাহীর এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৩
ফুলে ফেঁপে উঠেছে রাজশাহীর এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ

রাজশাহী: টানা তিনবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। শুরুর দিকে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) ও মন্ত্রীদের সম্পদের পরিমাণ যা ছিল তার চেয়ে এখন বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে তাদের স্ত্রীদের সম্পদও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জমা দেওয়া হলফনামায় উঠে এসেছে তাদের বিশাল সম্পদের পরিমাণ।

এতে দেখা গেছে রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যদের সবাই এখন কোটিপতি। তাদের মধ্যে অনেকেরই এখন রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি ও গাড়ি। প্রার্থীদের হলফনামায় পাওয়া সেসব তথ্য আসন অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) তুলে ধরা হলো বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য।
সম্পদে টইটম্বুর এমপি ফারুক, নির্ভরশীলদের হাতেও কোটি টাকা

২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জমা দেওয়া হলফনামায় রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ফারুক ও তার স্ত্রীর নগদ অর্থসহ ব্যাংকে জমা ছিল ১ কোটি ২৪ লাখ ৯২ হাজার ৭১৬ টাকা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দাখিল করা হফলনামায় দেখা গেছে এবার তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেই ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৩৮ হাজার ৬০৬ টাকা জমা আছে। নিজের, স্ত্রী এবং নির্ভরশীলদের হাতে নগদ টাকা রয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪৬ টাকা। ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জ শেয়ারে কোনো টাকা না থাকলেও তার এবং পরিবারের এবার রয়েছে ১৪ লাখ ১৩ হাজার টাকা। আর এবার পোস্টাল সঞ্চয়পত্র রয়েছে দুই লাখ টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত ৬০ বিঘা কৃষি জমি রয়েছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় পরিবারের নির্ভরশীলদের নামে কোনো কৃষি জমি না থাকলেও এবার রয়েছে ৬০ বিঘা জমি।

টাকা ও সম্পদ দুটোই বেড়েছে এমপি বাদশার

রাজশাহী-২ (সদর) আসনে টানা তিনবারের সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করে জয় পেয়ে এলেও এবারের নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন নির্বাচনে। শরিকদের জন্য শেষ পর্যন্ত এই আসন না ছাড়লে তাই এবার নৌকা ছাড়াই লড়তে হবে তাকে। এই আসনে পরপর তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি হওয়া বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ ও নগদ অর্থ বেড়েছে।

বিগত ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামা বাদশা তার ব্যাংক হিসাবে দেখিয়েছিলেন ২৫ লাখ ৯৭ হাজার ৮শ টাকা। এবার হলফনামায় দেখানো হয়েছে ব্যাংকে এক কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার ২৪৫ টাকা আছে। অর্থাৎ শেষ পাঁচ বছরে তার টাকার পরিমাণও পাঁচগুণ বেড়েছে। আগে বাদশার সাড়ে ১৬ লাখ ও ৩৮ লাখ টাকার দুটি গাড়ি থাকলেও এখন একটি জিপের দামই ৭০ লাখ।

গেল নির্বাচনের সময় ফজলে হোসেন বাদশার হাতে নগদ ছিল ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৬৮৬ টাকা। এখন ২৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা আছে। এছাড়া পাঁচ বছরে পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কারের মালিক হয়েছেন তিনি। আগে দোকান ভাড়া থেকে কোনো আয় না থাকলেও এখন মার্কেট ভাড়া থেকে বছরে আয় দেখিয়েছেন ১৭ লাখ ৩২ হাজার ৮২৩ টাকা। আর এমপি হিসেবে তিনি বছরে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা সম্মানী ও ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩ টাকা আয় দেখিয়েছেন। এর পাশাপাশি বাড়ির আসবাবপত্র দেখানো হয়েছে ৪ লাখ টাকা। এছাড়া খন্দকার মার্কেট ও উত্তরায় পাঁচ কাঠা জমিও নিয়েছেন তিনি।

কৃষিতে সফল এমপি আয়েন, হয়েছেন জমিদার

রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন সাবেক রাবি ছাত্রলীগ নেতা আয়েন উদ্দিন। এরপর ২০১৮ সালেও তাকে নৌকার মাঝি বানোনো হয়। আর নির্বাচিত হওয়ার পর প্রতি মেয়াদেই জমি ও অর্থ বেড়েছে তার। সরকার দলীয় সাবেক এই ছাত্রলীগ নেতা সংসদ সদস্য হলেও সফলতা পেয়েছেন কৃষিতে।

কৃষি ঘুরিয়ে দিয়েছে তার ভাগ্যের চাকা। দুই বিঘা জমি থেকে এক দশকে তার মোট জমির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৭ বিঘা। এছাড়াও বাড়ি, গাড়ি ও ঢাকায় ফ্ল্যাট রয়েছে তার। এর পাশাপাশি আরও ৭৭ দশমিক ৭৯ একর জমি লিজ নিয়ে করছেন মাছ চাষও। মাছ চাষ করেই এমপি আয়েন উদ্দিন এই ৭৫ বিঘা জমি কিনেছেন। এবার দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি। তাই এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিদ্রোহ প্রার্থী) হিসেবেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

সংসদ নির্বাচনের জন্য দাখিল করা হলফনামায় দেখা গেছে, ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে তার নামে চার লাখ টাকা দামের দুই বিঘা জমি ছিল। এখন তার নামে জমির পরিমাণ দেওয়া হয়েছে ৭৭ বিঘা। অর্থাৎ গেল পাঁচ বছরে তিনি এই ৭৫ বিঘা জমি কিনেছেন। এমপি আয়েন এই জমির মূল্য দেখিয়েছেন ৩ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার ৩২৬ টাকা।

এছাড়া এবার রাজধানীর পূর্বাচলে তিন কাঠার প্লট নিয়েছেন ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৮৮০ টাকায়। ২০১৪ সালে স্ত্রীর নামে কোনো ফ্ল্যাট ছিল না। তবে ২০১৮ সালে ৩০ লাখ টাকার একটি ফ্ল্যাট হয় তার। এবার স্ত্রীর নামে প্রায় ৮৬ লাখ টাকার আরও দুইটি ফ্ল্যাট দেখানো হয়েছে। অথচ ২০১৪ সালে স্ত্রীর হাতে ছিল এক লাখ টাকা। আর ব্যাংকে কিছুই নেই। এখন তার শিক্ষক স্ত্রীর হাতেই নগদ আছে ১৮ লাখ ২৯ হাজার ৯১৯ টাকা। আছে ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র।

এমপি আয়েন উদ্দিন তার আয়ের খাত হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ভাতা ছাড়াও দেখিয়েছেন মাছ চাষ। তিনি ৭৭ একর জমি লিজ নিয়ে মাছ চাষ করেন। এই খাত থেকে তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ১১ লাখ। হাতে এখন নগদ আছে ৩ লাখ টাকা।

ব্যবসায় বিফল এনামুল, এমপি হয়েও করেন চাকরি

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এছাড়া তিনি এনা গ্রুপের মালিক। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দল থেকে মনোনয়ন পাননি। তাই এবার লড়বেন স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) প্রার্থী হিসেবেই। এবার নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি পেশা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ব্যবসা। অথচ এই ব্যবসা থেকে তার এক টাকাও আয় নেই বলে জানিয়েছেন। অথচ তিনি এমপি হয়েও চাকরি করে বছরে ৩২ লাখ ৩ হাজার ৪৬ টাকা আয় করেন বলে উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।

২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত হিসেবে তার কোনো টাকা ছিল না। তবে এবার এই খাত থেকে বাৎসরিক আয় দেখিয়েছেন ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ৮৪২ টাকা। এমপি এনামুল হক এবং তার স্ত্রীর হাতে ও ব্যাংক হিসাবে ৭১ লাখ ৬৯ হাজার ১২০ টাকা দেখিয়েছেন। আর নিজের নামে আছে তিনটি বিলাসবহুল গাড়ি। সেগুলো দাম হবে প্রায় কোটি ৬৬ লাখ ২৭ হাজার ৮০২ টাকা।

এবার তার দল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বাগমারার তাহেরপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদকে। তার হলফনামায় অস্থাবর সম্পত্তি হিসাবে নগদ ১০ লাখ, ব্যাংকে ৫০ হাজার এবং পোস্টাল সেভিংস সঞ্চয়পত্রে নিজের নামে ২৯ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৭ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। তার কাছে বর্তমানে একটি মোটরসাইকেল, ৩৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬০৭ টাকার একটি মাইক্রোবাস ও ১ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকার একটি হার্ডজিপ গাড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন কালাম।

প্রথবার এমপি হয়েই অর্থ ও সম্পদের পাহাড় গড়েছেন মনসুর

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য হলেন অধ্যাপক ডা. মনসুর রহমান। এবার দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে। এর আগে ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রথমবারের মতো এমপি হন তিনি। এর মধ্যেই বিপুল অর্থবিত্তের বৈভবের মালিক হয়েছেন তিনি। এর আগের বার নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় নিজের ব্যাংক হিসাব নম্বরে তিন লাখ ১১ হাজার ১২৫ টাকা দেখিয়েছিলেন। এবার তার ব্যাংক হিসাবে রয়েছে ২ কোটি ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ১৭৬ টাকা। এছাড়া পোস্টাল সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে ২০১৮ সালের হলফনামায় ৩৫ লাখ টাকা উল্লেখ করলেও এবার এই খাতে তার বিনিয়োগ ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ৭৬৭ টাকা।

স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় ৩০ লাখ টাকার কৃষি জমি দেখালেও এবার দেখিয়েছেন সাড়ে ৩২ বিঘা কৃষি জমি এবং ৬ বিঘার পুকুর। তার স্থলে এবার দুইবারের সাবেক এমপি ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুল ওয়াদুদ দারাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দারার হলফনামায় নিজের, স্ত্রী এবং নির্ভরশীলদের হাতে এবং ব্যাংকে রয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ৬৫৩ টাকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তাদের বন্ড, ঋণপত্র, স্টক একচেঞ্জ শেয়ার বাজারে রয়েছে ৭ কোটি ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তার ও পরিবারের পোস্টাল সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে তার বিনিয়োগ রয়েছে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯২ টাকা।

পাল্লা দিয়ে সম্পদ বেড়েছে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের

পেশায় ব্যবসায়ী হলেও ২০০৮ সালে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসন থেকে প্রথম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান শাহরিয়ার আলম। টানা তিনবারের সংসদ সদস্য তিনি। এর মধ্যে শেষ দুই মেয়াদে সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তিনি। এবারও পেয়েছেন নৌকার টিকিট। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তার হলফনামা অনুযায়ী ২০১৮ সালের চেয়ে শাহরিয়ারের নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার পরিমাণ বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি।

তার ২০১৮ সালে হলফনামায় দেখা গেছে, ওই সময় বার্ষিক আয় ছিল ৩ কোটি ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৩৮৮ টাকা। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭ কোটি ৯২ লাখ ৯১ হাজার ২৫৪ টাকা। তার হাতে থাকা নগদ টাকাও বেড়েছে তিন গুণের বেশি। ২০১৮ সালে নগদ ছিল ৬ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৭০৬ টাকা। এখন আছে ২১ কোটি ৪৫ লাখ ৪৯ হাজার ১৫৩ টাকা। শেয়ার বাজারে আছে ৬৬ কোটি ৪১ লাখ ৩২ হাজার ৭০০ টাকার। আগে শেয়ার ছিল ৫৮ কোটি ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩৫০ টাকার। আগে সঞ্চয়পত্র ছিল ১০ লাখ টাকার, এখন ৩০ লাখ টাকার। পাঁচ বছর আগে তার গাড়ির দাম ছিল ৭৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩১৫ টাকা।

এখন লাক্সারি কারের দাম ১ কোটি ১০ লাখ ৩ হাজার ১০০ টাকা। ২০০৮ সালে শাহরিয়ার আলম প্রথমবার এমপি হওয়ার সময় তার হাতে নগদ টাকা ছিল ১ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৫ টাকা। ব্যাংকে ছিল ৪ হাজার ১৩৬ টাকা। ২০১৩ সালের নির্বাচনের সময় ব্যাংকে কোনো টাকাই ছিল না নিজের নামে। এখন স্ত্রী-সন্তানদের নামেও বিপুল সম্পদ রয়েছে।

শাহরিয়ার আলমের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে আছে ১ দশমিক ৭৯৬৫ একর কৃষি জমি এবং অকৃষি জমির পরিমাণ ১৫ দশমিক ৩৯৪ একর। এমপি শাহরিয়ারের ঢাকার গুলশানে রয়েছে দুটি অ্যাপার্টমেন্ট এবং চারতলা বাড়ি রয়েছে নিজ এলাকা রাজশাহীর বাঘার আড়ানিতে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২৩
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচন ও ইসি এর সর্বশেষ