ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

টকশোতে বিশিষ্টজনদের মনগড়া বক্তব্য কাম্য নয়: ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
টকশোতে বিশিষ্টজনদের মনগড়া বক্তব্য কাম্য নয়: ইসি

ঢাকা: টকশো ও পত্রপত্রিকায় বিশিষ্টজনরা মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন, যা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। একইসঙ্গে নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, যা কাম্য নয়।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এমনটি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিবৃতিতে নিজেরদের অবস্থানও তুলে ধরেছে সংস্থাটি।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের টকশো বা পত্রপত্রিকায় মন্তব্য করছেন, নির্বাচন কমিশন আচরণ বিধিমালার প্রয়োগ বিষয়ে নির্লিপ্ত। গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে; যা মোটেই কাম্য নয়।

বিবৃতিতে নিজেরদের অবস্থান তুলে ধরে ইসি জানায়- জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনে প্রচারণা বিষয়ে আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ নামে একটি সংবিধিবদ্ধ বিধিমালা রয়েছে। ওই বিধিমালার ৫ নম্বর বিধি অনুযায়ী রাজনৈতিক দল, মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিধিমালার ৬ থেকে ১৪ নম্বর বিধিতে বর্ণিত নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, আচরণবিধির মূল বিষয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী। প্রার্থী দলের পক্ষে মনোনীত প্রার্থী হতে পারেন বা স্বতন্ত্র হতে পারেন।

বিধিমালার ১২ নম্বর বিধিতে ২১ (একুশ) দিন আগের কথা বলা হয়েছে। এর অর্থ, প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য ২১ (একুশ) দিনের বেশি সময় পাবেন না। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা কর্তৃক প্রার্থীতা চূড়ান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণ বিধির অর্থে প্রার্থী নন। নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ হবে রিটার্নিং অফিসার বাছাই, আপিলের সিদ্ধান্ত, ইত্যাদি শেষ করে কোনো একটি নির্বাচনী এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্তের পর প্রতীক বরাদ্দ করে প্রচারণার জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন উক্ত নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের সবাই সমভাবে একেকজন প্রার্থী হবেন। সে সময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে। আচরণ প্রতিপালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট।

১২ নম্বর বিধিতে ২১ (একুশ) দিন আগে কোনো প্রার্থী দ্বারা বা প্রার্থীর পক্ষে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা নিষিদ্ধ। প্রার্থীদের জন্য তাদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারের সময় চলতি বছরের ১৮ ডিসেম্বর ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বরের আগে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার আইনগত সুযোগ নেই। ফলে এর আগে কোনো নির্বাচনী এলাকায় কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে নির্বাচনী প্রচারণারও সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০২৩
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।