ঢাকা, বুধবার, ১ কার্তিক ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

শূন্য দুই আসনে উপ-নির্বাচন ৫ নভেম্বর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
শূন্য দুই আসনে উপ-নির্বাচন ৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন ভবন

ঢাকা: দুজন সংসদ সদস্যের (এমপি) মৃত্যুর ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ২৪তম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন ভবনে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেব নাথ।

তিনি বলেন, আগামী ৫ নভেম্বর উপ-নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।

বিস্তারিত তফসিল ঘোষণার সময় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১১ অক্টোবর, বাছাই ১২ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের করা যাবে ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি হবে ১৮ অক্টোবর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর। প্রতীক বরাদ্দ ২০ অক্টোবর। ভোটগ্রহণ হবে ৫ নভেম্বর।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসক। আর তাকে সহায়তা করবেন সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা।

সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। কোনো সিসি টিভি ব্যবহার করা হবে না। স্বচ্ছ বাক্সে ব্যালটে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এ নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই বাধ্যবাধকতার আলোকে কমিশন ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঞা ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল রাজধানীর একটি হাসপাতালে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর জাতীয় সংসদ সচিবালয় আসন দুটি শূন্য ঘোষণা করে গত রোববার (১ অক্টোবর)।

সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের কোনো আসন শূন্য হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে উপ-নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর আসন শূন্য হওয়ার তারিখ হিসেবে এ দুই আসনে উপ-নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে।

উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ও জুনের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন পান। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হলে উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র থেকে জয়লাভ করে ফের সংসদে আসেন তিনি।

অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শাহজাহান কামাল ১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৩
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।