ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবো: হিরো আলম

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবো: হিরো আলম

ঢাকা: ঢাকা-১৭ আসনের নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করলেও শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার কথা জানিয়েছেন একতারা প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম)।

সোমবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটের ফলাফল মেনে নেবো কি না, সেটা পরের বিষয়। তবে আমরা ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকবো। আমরা দেখতে চাই, তারা আমাদের ওপর কতটা অত্যাচার করতে পারে, কতবার আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়, কতটা জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারে। এটি জনগণ দেখবে। আমাদের ওপর কতটা অন্যায়-অত্যাচার করা হয়, সেটি দেখার জন্য আমরা শেষ পর্যন্ত থাকবো।

এর আগে তিনি বলেন, নির্বাচনে সকাল থেকে ভোটারদের উপস্থিতি কম। ভোটাররা ভয়ে আছেন। সকাল থেকে শুনেছি অনেক কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি নিজেও বনানী মডেল স্কুলে এসে দেখলাম আমাদের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এজেন্টদের ভেতরে ঢোকালাম।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, মোট ১২টি কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আমি এখন সেই জায়গাগুলোতে যাবো। দেখবো, কেন আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।

হিরো আলম আরও বলেন, যেহেতু এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে, সেহেতু তারা (আওয়ামী লীগ) এক তরফা নির্বাচনের চিন্তা করেছে।

এজেন্টদের বের করে দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশকে জানানো হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তারা এখনো আমাদের এজেন্টদের ঢোকাতে পারেনি। তারা বলছে বিষয়টি তারা দেখছেন। বনানী থানাতেও আমি ফোন করেছি, তারাও বলেছে বিষয়টি দেখছেন।

নির্বাচন কমিশনের ওপর কতটুকু আস্থা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন হলে তো আস্থা থাকবে না। এজেন্টই কেন্দ্রে ঢুকতে পারছে না, তাহলে ভোটাররা কীভাবে আসবে। আমার সব কেন্দ্রে এজেন্ট আছে। মোট ৬০০ জন এজেন্ট দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভোটের পরিবেশ খুব একটা ভালো না। কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের ঘাড় ধাক্কা দেওয়া হয়েছে, তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের লোকজন আমার কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। আমরা আশঙ্কা করছি কিছু কিছু কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। সেগুলো হচ্ছে- বালুঘাট কেন্দ্র, ভাষানটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গ্রিন হ্যাভেন স্কুল, আদমজি ক্যান্টনমেন্ট, গুলশান মডেল স্কুল, বনানী মডেল স্কুল, জামিয়া মাদরাসা।

এর মধ্যে গুলশান মডেল স্কুলে আমাদের কর্মীদের মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজন এই কাজগুলো করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
এসসি/ইএসএস/এমএমআই/এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।