ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন

অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব: সিইসি ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনের প্রার্থীদের নিয়ে আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক সভা

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করব। অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) নির্বাচন ভবনে সিইসির সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনের আট প্রার্থীকে নিয়ে আচরণবিধি প্রতিপালন বিষয়ক সভায় তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টির জন্য আপনাদের ডেকেছি। আমরা কোনভাবেই চাই না আচরণবিধি ভঙ্গ হোক। আমরা আশা করি সেটা হবে না। অনেক সময় অজ্ঞতাবশত আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। অতি উৎসাহী হয়ে কিছু কিছু কর্ম করে ফেলেন আচরণবিধি ভঙ্গজনিত।

তিনি আরও বলেন, আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করব। অতীতেও আমরা এ চেষ্টা করেছি। ক্ষেত্র বিশেষে আমরা প্রার্থিতাও বাতিল করেছি। ওই রকম কোনো ঘটনা আশা করি ঘটবে না। আপনারাও সচেতন। আপনারা সংসদ সদস্য হয়ে আইন প্রণয়ন করবেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধশীল হবেন। এটা একান্ততভাবে কাম্য। কোনোভাবে সহিংস মনোভাব না দেখিয়ে সহিষ্ণু হবেন আপনারা।

সিইসি বলেন, কাউকে আক্রমণ করবেন না। আক্রমণাত্মক কথা বলবেন না। মিছিল করতে গিয়ে ঢিল ছুড়বেন না। দোষারোপ করে বক্তব্য দেওয়াটা পরিহার করে চলাটা ভালো। মিথ্যা প্রচারণা আপনার বিরুদ্ধে হলে সেটা কাউন্টার করবেন ভদ্রভাবে, অসিংসভাবে। সহিংসতার আশ্রয় নেবেন না।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা নির্বাচন সিসিটিভি দিয়ে নিবিড়ভাবে মনিটর করব। অনেকে পেশিশক্তি লাগিয়ে ব্যালটে সিল দিয়ে স্টাপিং করতে থাকেন। সেটা কিন্তু করবেন না। এমনও হতে পারে আমরা চিহ্নিত করতে পারলাম না। সেক্ষেত্রে আমরা টোটাল ভোট বন্ধ করে দিতে পারব। যদি বুঝি এটা ব্যাপকভাবে হচ্ছে। এজন্য সার্বিক ভোট বিপন্ন হবে. বাধাগ্রস্ত হবে। জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটবে না। এটা আমাদের কাছে প্রতীয়মান হলে সম্পূর্ণ ভোট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো।

তিনি আরও বলেন, পোলিং এজেন্ট না থাকলে ভোটের ক্ষেত্রে আপনারা অনেকটাই নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বেন। কেউ অন্যায় আচরণ করছে কি না, কারচুপি হচ্ছে কি না সেটা দেখার জন্য পোলিং এজেন্ট লাগবে। নির্বাচন কমিশন এখানে বসে বসে সব কিছু দেখতে পারবে না। পোলিং এজেন্টও সেটা দেখবেন। আমরা অনেক সময় অসহিষ্ণু হয়ে উঠি। প্রচারণা চালাতে হবে অহিংস পদ্ধতিতে, শালীনভাবে। আমরা ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে চাই। কে কাকে ভোট দিল, এটা আমাদের মাথাব্যথা নেই। ভোটাররা আসবেন, ভোট দেবেন। বাইরে এসে কোনো অভিযোগ করবেন না। এটাই আমাদের লক্ষ্য।

সিইসি বলেন, কোনো ভোটারকে বাধা দেওয়া যাবে না। তাহলে ভোট প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে কমিশন।

সভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আরাফাত না আসায় উষ্মাও প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। নৌকার প্রতীকের এই প্রার্থীর প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক উইলিয়াম প্রলয় সমাদ্দার তখন বলেন, তিনি অসুস্থ বিধায় আসতে পারেননি। সিইসি বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের সময়ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন না।

সভায় অন্যদের মধ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, মুক্তিজোটের মো. আকতার হোসেন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রেজাউল করিম স্বপন, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) ও তরিকুল ইসলাম ভুঞা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।