ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম প্রকল্প স্থগিত: হতাশার কিছু দেখছেন না সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
ইভিএম প্রকল্প স্থগিত: হতাশার কিছু দেখছেন না সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

ঢাকা: দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার জন্য ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্প প্রস্তাবটি সরকার আর্থিক সংকটের কারণে স্থগিত করে দিয়েছে। এতে হতাশা-নিরাশার কিছু দেখছেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেন, এটা ব্যক্তিগত বিষয় নয়। এখানে হতাশ হাওয়ার প্রশ্নই আসে না।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ওই বিষয়ে আর রিয়্যাকশন দিতে চাচ্ছি না। ইতোমধ্যে স্থগিত হওয়ার পর আমাদের কমিশনের পক্ষ থেকে কমিশনার (ইসি সচিবও আনুষ্ঠানিক ব্রিফ করেছেন) আপনাদের বক্তব্য দিয়েছেন।

প্রকল্পটি স্থগিত হওয়ায় হতাশ কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা আমার কোনো ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়।  একটা সিদ্ধান্ত এসছে যে সার্বিক অর্থনৈতিক কারণে সরকার ইভিএম দিতে পারছে না। এখানে আমাদের রিয়্যাকশন দেখানোর কিছু নেই। আমরা এটা বলেছিলাম অনূর্ধ্ব ১৫০টি আসনে এবং আরও বলেছিলাম প্রাপ্যতা সাপেক্ষে ইভিএম ব্যবহার করবো। কাজেই এখানে হতাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

৩০০ আসনেই ইভিএমে করতে পারলে ভোটটা বেশি সুষ্ঠু হতো এমন মন্তব্য আগে করেছিলেন, এখন কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের যে ইভিএম আছে তা দিয়ে ৫০,৪০,৩০ আসনে হবে? এ বিষয়ে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি।  যে মেশিনগুলো আমাদের কাছে আছে সেগুলো যদি কার্যকর থাকে আমরা কিউসি করছি, যতটা সম্ভব আমরা নির্বাচন করবো। তবে বিষয়টা আমরা নিশ্চিত নই, আগে জানতে হবে কতগুলো ইভিএম মেশিন আছে।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্বে নির্বাচন কমিশন দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে। সেই মেশিনগুলো দিয়েই গত পাঁচ চার জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন, উপ-নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। মেশিনগুলো সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে কিছু কিছু মেশিন অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এগুলোর মধ্যে বেশকিছু ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া সংসদের নির্বাচনের জন্য কতগুলো ব্যবহার করা যাবে তাও পরীক্ষা করে দেখছে কমিশন।

এর আগে, কমিশন থেকে বলা হয়েছিল তাদের হাতে থাকা মেশিন দিয়ে সর্বোচ্চ ৭০টি আসনে ভোট করতে পারবে। আর সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ভোটগ্রহণ করার জন্য তাদের দরকার নতুন একটি প্রকল্প, যেখানে রক্ষাণবেক্ষণের ব্যবস্থাও রাখার প্রস্তাব করেছিল ইসি। ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ওই প্রকল্পটি নানা আলোচনার পর রোববার (২২ জানুয়ারি) আর্থিক সংকটের কারণে আপাতত স্থগিত করে দিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
ইইউডি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।