ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

‘ইভিএমে নয়, যারা পেছনে কাজ করে তারাই সমস্যা’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
‘ইভিএমে নয়, যারা পেছনে কাজ করে তারাই সমস্যা’ কথা বলছেন বদিউল আলম মজুমদার। 

রংপুর: ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যন্ত্রে সমস্যা নয়, যারা এর পেছনে থেকে কাজ করেন তারাই সমস্যা করে বেড়ায়। ইভিএম একটা যন্ত্র মাত্র।

যন্ত্রটিকে যা ইনপুট দেওয়া হবে তার ফলাফল সে প্রদর্শন করবে। তবে এর পেছনে যারা থাকেন তারাই তো দুষ্কর্মগুলো করেন। যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারাই তো মেনুপুলেট করবে। সুতরাং আমরা মনে করি ইভিএম দিয়ে কখনোই সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। ’

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর সিটি কর্পোরেশন (রসিক) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার এ কথা বলেন।

সুজন সম্পাদক বলেন, আমরা বরাবরই ইভিএমের বিপক্ষে।  ইভিএম যন্ত্র দিয়ে পক্ষপাতমূলক যেকোনো কর্মকাণ্ড করা যায়। কারণ এটি দিয়ে একটি পক্ষকে জেতানো সম্ভব। তবে গত রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছিল, আমরা লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করেছিলাম। এবারও আমরা আশা করব সুষ্ঠু ভোট হবে, যদি তারা জালিয়াতি না করেন। নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত না করার চেষ্টা করলে নির্বাচন প্রভাব মুক্ত থাকবে।  

রসিক ভোট সুষ্ঠু হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম বলেন, আমি জ্যোতিষী নই, এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে আমাকে জ্যোতিষী হতে হবে। জনগণ চাচ্ছে এখানে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট হোক। আমরা চাই যারা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে আছেন, তারা নিরপেক্ষভাবে সঠিকভাবে তাদের পালন করবেন। যারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। তারা যেন গাইবান্ধার মতো আচরণ না করেন তাহলে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট করা সম্ভব।

রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ১০ লাখ লোকের বসবাস। জলাবদ্ধতা নিরসন, যানজট মুক্ত, তরুণ সমাজের জন্য খেলাধুলার মাঠ, পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, প্রশস্ত ও বিকল্প সড়ক, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, হাইটেক পার্কের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, নাগরিক সেবা সহজীকরণসহ একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ার অঙ্গীকার করেন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

প্রার্থীরা বলেন, অত্যন্ত সম্ভাবনাময় রংপুর সিটি করপোরেশন। এখনই সময় এই সিটিকে বাংলাদেশের সব সিটি থেকে সমৃদ্ধ ও পরিকল্পিত নগরী গড়ার। সমানভাবে উন্নয়ন করা, যা হবে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি বসবাসের উপযোগী নগরী। এ সময় প্রার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে সৌহার্দ্য বজায় রাখতে সবাই একসঙ্গে হাত তুলে অঙ্গীকার করেন।

সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক রংপুর মহানগর কমিটি আয়োজিত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীদের জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাসদের সাফিয়ার রহমান, ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়াল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান, খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন ও মেহেদী হাসান বনি।

জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রংপুর মহানগর সুজন সভাপতি অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু।  

অনুষ্ঠানে রংপুর সিটি বিভিন্ন পর্যায়ের নাগরিকরা উপস্থিত প্রার্থীদের কাছে পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। ২২৯টি কেন্দ্রে ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।