ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঈদ সংখ্যা

ঈদ আয়োজন

শিল্পী হাসেম খান ও কাক

সাক্ষাৎকার / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৪
শিল্পী হাসেম খান ও কাক

বরেণ্য শিল্পী হাসেম খান রঙ-রেখার জাদুতে জয় করেছে মানুষের মন। তার নানা শিল্পসৃষ্টি ছাড়াও অনেক ক্যানভাস পূর্ণ করেছেন কাক আলেখ্য দিয়ে।

সেখানে কাকেরা লাল, নীল, হলুদ রঙের মাঝে উৎসব করে। নানারকম পাখিরও কমতি নেই তাঁর ক্যানভাসে। তবু হাজারো পাখির মাঝে কাক সৌন্দর্য জাগানিয়া এক জায়গা করে নিয়েছে। তাঁর সৃষ্ট এই কাক নিয়ে বলতে গিয়ে শিল্পী হাসেম খান কখনও হেসে কুটি কুটি, কখনও স্মৃতিকাতর। বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর এই সাক্ষাৎকারটি নেন মোহাম্মদ আসাদ


কাক পাখিটিকে মানুষ তেমন পছন্দ করে না। কিন্তু আপনার ক্যানভাসে কাক এসেছে উৎসব নিয়ে। এর কী কারণ?
হাশেম খান : শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন কাক নিয়ে বেশ কিছু ছবি এঁকেছেন। ফ্রেমে তার বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছিল কাক। কাকের চোখ, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তাঁর ছবিতে চমৎকারভাবে এসেছে। আমার মনে হয় সমাজের কিছু মানুষের চরিত্র কাকের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আবেদিন সাহেব ও কাক নিয়ে আমার একটা মজার ঘটনা আছে— সেদিন ছিল জয়নুল আবেদিনের জন্মদিন। সকালবেলা অনুষ্ঠান হলো, ফুল দেওয়া হলো তার কবরে। বহু লোক এসেছিল সেই অনুষ্ঠানে। বিকেলে যখন ইনস্টিটিউটে এলাম, তখন ফুলে ফুলে ঢাকা কবরটির অবস্থা কী, তা দেখার জন্য কবরের পাশে যেতেই অবাক। কবরের পাশে একটা দেয়ালে অনেকগুলো কাক বসে আছে। অনেক কাক, আমি গুনে শেষ করতে পারিনি। এক সঙ্গে অনেক কাক বসে থাকলে কা... কা... শব্দ করে। এ রকম দেখলে আমরা ছোটবেলায় বলতাম কাকের মিটিং হচ্ছে। সেই মিটিংয়ে একটা ওড়ে, একটা বসে, হুলস্থূল বাধিয়ে দেয়। অবাক করার মতো বিষয় আবেদিন সাহেবের কবরের পাশে বসা কাকগুলো কিন্তু শব্দ করছে না, নীরবে বসে আছে। কাকগুলো হয়তো জানে এই শিল্পী তাদের ভালোবাসত। এজন্য সকালে মানুষ শ্রদ্ধা জানিয়েছে আর বিকেলে এসেছে কাকের দল। এই ঘটনা হয়তো বাস্তবিক এমনটা নয়। তারপরও এতগুলো কাক কবরের পাশে চুপচাপ বসে থাকা আমার কাছে অবাক ব্যাপার ছিল। আবার অন্যভাবে দেখলে অবিশ্বাস্য। প্রতিবছর সে রকম হয় কি-না তা কোনো দিনই পরীক্ষা করতে যাইনি। তবে সেদিন আমার মনে হয়েছিল এটা একটা অভাবনীয় ব্যাপার।

কাক কিন্তু মানুষের পরিষ্কার জিনিস দেখতে পছন্দ করে না। সুযোগ পেলেই মল ত্যাগ করে নোংরা করে দেয়।
হাশেম খান : মানুষের পরিষ্কার জিনিস দেখলে কাকের নোংরা করে দেওয়ার এই বিষয়টি কখনই বদলায়নি। আসলেই, এখানে যারা একটু হাঁটাহাঁটি করেন, তারা লক্ষ্য করবেন ফুলার রোডে যেমন গাছপালা, তেমনি পাখি। তার মধ্যে কাকের সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। কাক কিন্তু সাংঘাতিক সচেতন। আপনি বললেন ওরা পরিষ্কার জিনিস নষ্ট করে। আমার মাথায় টাক, পরিষ্কার টাক। এটা ওদের টার্গেট। পরিষ্কার এই জায়গাটা নষ্ট করে অনেক সময়ই যাত্রা ভঙ্গ করেছে। আমি কাকের মন নিয়ে গবেষণা করিনি। তবে বিষয়টা অনেক ইন্টারেস্টিং।

** পুরো সাক্ষাৎকার ই-ম্যাগাজিনে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ঈদ সংখ্যা এর সর্বশেষ