আমার বড় বোনের বাড়ি মানিকগঞ্জের গুলটিয়া গ্রামে। ছোট বয়সে মানে ১৯৫০-৬০-এর দশকে প্রায় প্রতি শীতে আমি সেখানে যেতাম বোন ও ভাগ্নে-ভাগ্নিদের দেখতে, শীতের পিঠা ও সাঁঝের বেলা সদ্য গাছ থেকে পাড়া খেজুরের রস খাওয়ার জন্য।
ঢাকার পল্লবীর বাসার পাশের এক সদ্য বিবাহিতা কপোত-কপোতি মধুচন্দ্রিমার উদ্দেশ্যে আমেরিকা পাড়ি জমালো। কিন্তু বেশ কিছু বছর ঘুরে গেলেও সে দম্পতি আর ফিরলো না। এরা এবং এদের মতো আরও হাজারো দেশি পাড়ি জমিয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। কিন্তু দ্বিতীয়বার তারা আর বাংলাদেশে ফিরে আসেনি। এরা দেশান্তরী হয়েছে বা ইমিগ্রেট করেছে। এখন তারা দু-চার-দশ বছর পর দেশে বেড়াতে আসে।
তবে এদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে, অন্য কোনো দেশে বছর বা দীর্ঘ মেয়াদের জন্য গেছে কিন্তু আবার নিজ দেশে ফিরেছে তারা ছিল অভিবাসী বা প্রবাসী বা ইমিগ্র্যান্ট। যেমন আমি নিজেই তিন দশক ধরে দুবাইতে প্রবাসী।
বেড়াতে যাওয়া-আসা, দেশান্তরী হওয়া বা প্রবাসী জীবনযাপনের কোনোটিই পরিযায়ন বা মাইগ্রেশন নয়।
** পুরো রচনা ই-ম্যাগাজিনে