ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

শাবির কিলোরোডে দৃষ্টিনন্দন ‘ওয়াকওয়ে’

হাসান নাঈম, শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
শাবির কিলোরোডে দৃষ্টিনন্দন ‘ওয়াকওয়ে’ দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে।

শাবিপ্রবি (সিলেট): সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক ধরে এগোলেই ডানপাশে চোখে পড়বে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রধান ফটক। মূল ফটক থেকে প্রায় হাজার গজ পেরিয়ে মূল ক্যাম্পাস।

ফটক থেকে মূল ক্যাম্পাস পর্যন্ত রাস্তাটি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে ‘এক কিলো’ নামে পরিচিত।

এই কিলোর দুই পাশে সারি সারি সবুজ গাছ-গাছালি আর চোখ জুড়ানো লেক। এ লেককে ঘিরে আছে সবুজ গালিচায় মোড়ানো বিভিন্ন প্রকারের রং-বেরঙের গাছ-গাছালি। কিলোরোডকে কেন্দ্র করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদরে চলাচলের সুবিধার্থে যুক্ত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ‘ওয়াকওয়ে’। যা কিলোরোডের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

সবুজায়নে ভরপুর এ কিলোরোড শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্মৃতি বিজড়িত একটি স্থান, কোলাহলপূর্ণ পরিবেশ থেকে ঘর্মাক্ত কিংবা ক্লান্ত হয়ে ছায়াঘেরা কিলোরোডে এলেই অনুভূত হয় শীতল প্রশান্তি। এছাড়া কেউ কেউ দলবেঁধে রাত-বিরাতে গান করে অথবা গল্পগুজবে সময় কাটায় কিলোরোডে।

১৯৮৬ সালে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে সময়ের পরিক্রমায় বদলেছে কিলোরোড, বেড়েছে সৌন্দর্যও। এতে বর্তমানে নির্মাণাধীন ওয়াকওয়ে সৌন্দর্য নজর কেড়েছে সবার।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২ কোটি ১৮ লাখ ৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ২৫শ ফিট ওয়াকওয়ে তৈরি করা হচ্ছে। বর্তমানে ওয়াকওয়ের কাজ শেষের দিকে। দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ওয়াকওয়েটি নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছে। কাজ শেষ হলেই ওয়াকওয়েটি উন্মক্ত করা হবে।

অনুভূতি জানিয়ে ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তাসপিয়া সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এক কিলো রোড সবার আবেগের একটি জায়গা, ব্যক্তিগতভাবে আমার নিজেরও অনেক ভালো লাগে। কিলোরোডে হাঁটতেই নিজের মধ্যে অন্যরকম একটি প্রশান্তি কাজ করে। কিলোরোডে ওয়াকওয়ে যুক্ত হচ্ছে, এটি কিলো রোডের সৌন্দর্যকে আরো বিমোহিত করবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এক কিলোতে একটি ওয়াকওয়ে দরকার ছিল, ভিসি স্যার সেটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন। ওয়াকওয়ের কাজটি দুইটি অংশে পরিচালিত হচ্ছে, কিছু কাজ এখনো বাকি রয়েছে, আশা করছি তা দ্রুত শেষ হবে। ক্যাম্পাসের পরিবেশ ঠিক রেখে সে কাজগুলো করা হচ্ছে। এটি চালু হলে ক্লাস ও পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে কিলোরোডে একটা ওয়াকওয়ে দরকার ছিল। তবে কিলো রোডের দুই ধারে গাছ থাকায়, গাছের কোন ক্ষতি না করে ডিজিটাল সার্ভের মাধ্যমে ওয়াকওয়েটি নির্মাণ করার পরিকল্পনা নিই। আশা করছি, চলতি মাসের মধ্যে ওয়াকওয়েটি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারবো।

উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য আগামীতেও এমন ভালো ভালো উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিক্ষা, গবেষণা, উন্নয়ন ও সুশাসনে এ বিশ্ববিদ্যালয় হবে অন্যান্যদের রোল মডেল। তাই আমরা প্রত্যেকটি কাজকে সেভাবে পরিকল্পনা নিয়ে করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।