ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

হলের মেয়েরা নোংরা অবস্থায় থাকে, এদের দিয়ে কিছু হবে না: প্রভোস্ট

মহিউদ্দিন রিফাত, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
হলের মেয়েরা নোংরা অবস্থায় থাকে, এদের দিয়ে কিছু হবে না: প্রভোস্ট

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী হলের ক্যান্টিনে উচ্চ দাম নিয়ে খুবই নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করছেন ছাত্রীরা। তাদের অভিযোগ, খাবারে দাম অনেক বেশি হলেও মান খুবই খারাপ।

নোংরা পরিবেশে করা হয় খাবার পরিবেশন। পচা-বাসি খাবারও মাঝেমধ্যে দেওয়া হয়। সরেজমিনে হলে গিয়েও এর সত্যতা পেয়েছে এই প্রতিবেদক।

এসব বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের হলের মেয়েরা খুবই নোংরা অবস্থায় থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা অনেক পরিচ্ছিন্ন থাকলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীরা অপরিচ্ছন্নভাবে থাকে। এজন্য তারা পিছিয়ে আছে। তাদের দিয়ে কিছু হবে না।

তিনি বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের খাবার মান নিয়ে আমাদের কাছে তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। আর যেসব অভিযোগ আসে, সেগুলা আমরা আমলে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ক্যান্টিনের ভেতর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে খাবার। টেবিলের নিচে ফ্লোরে ঢাকনা ছাড়া রয়েছে রান্না করা তরকারি। এর ওপর ভনভন করছে মাছি। রান্নাঘরে রাখা কাটা কাঁচা মাছ হাতে নেওয়ার পর দুর্গন্ধ পাওয়া যায় যায়। সেখানে রাখা কাঁচা সবজিও অনেক আগের।



এছাড়া ভাতের ঝুঁড়ির পাশেই ধোয়া হচ্ছে ময়লা থালা। এ সময় থালা ধোয়ার ময়লা পানি ছিটকে ভাতের ঝুঁড়িতে পড়তে দেখা গেছে। এসব দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করার সময় দ্রুত ঢাকনা দিয়ে ঢাকতে থাকেন ক্যান্টিনের এক কর্মচারী।

ক্যান্টিনে খেতে আসা কয়েকজন ছাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, হলে মাছের তরকারি খেলে মনে হয় শুঁটকি মাছ। কারণ দুর্গন্ধ বের হয়। এই খাবারে কোনো স্বাদ নেই। মুরগি খেলে মনে হয় বাসি মুরগি। মিনিকেট চাল বলা হলেও ভাত অনেক মোটা। এটা মিনিকেট চাল হয় কীভাবে? অথচ এই খাবার খেয়েই প্রতি মাসে আমাদের বিল আসে চার সাড়ে চার হাজার টাকা। হল ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। অভিযোগ করলেও কোনো সমাধান মেলে না বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে হলের ক্যান্টিন পরিচালক নূর মোহাম্মদ মামুনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, হলের খাবারের মান ঠিক আছে, দামও ঠিক আছে। আপনারা অন্য জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখেন। আর আমাদের জায়গা কম বলে প্লেট ধোয়ার জায়গার পাশে ভাতের ঝুঁড়ি রাখা হয়েছিল।



হলের ক্যান্টিনে অপরিচ্ছন্নতার কথা জানালে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, খাবার যেন পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পরিবেশন করা হয়, এ বিষয়ে আমি বার বার বলেছি। মাঝেমধ্যে তদারকিও করি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমদ জানান, এ বিষয়ে তার কিছু করার নেই। হলের প্রভোস্ট তার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। হল প্রভোস্ট অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad