ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বীকৃতি পেয়েছেন যবিপ্রবি ভিসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বীকৃতি পেয়েছেন যবিপ্রবি ভিসি

যশোর: করোনা অতিমারীর সময় কোভিড-১৯ পরীক্ষা, করোনার নতুন ধরণ শনাক্তসহ করোনার উচ্চতর গবেষণার মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে এ বছর একুশে পদক (বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য) দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।

রোববার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের গ্যালারিতে শিক্ষক সমিতি কর্তৃক আয়োজিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে যবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ বলেন, উপাচার্য শুধু শিক্ষা ও গবেষণায় দক্ষ তা নয়, তিনি আর্থিক বিষয়েও স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। এ কারণেই তার গতিশীল নেতৃত্বে যবিপ্রবিতে শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নের পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নও দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে যবিপ্রবির জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান বলেন, করোনা অতিমারীর সময় কোভিড-১৯ পরীক্ষা, করোনার নতুন ধরণ শনাক্তসহ করোনার উচ্চতর গবেষণার মাধ্যমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এর স্বীকৃতি স্বরূপ হয়তো সরকার উপাচার্যকে একুশে পদক দিয়েছে। এটি শুধু তার নিজের অর্জন নয়, যবিপ্রবি পরিবারের প্রতিটি সদস্যদের অর্জন। এ কারণে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।

বর্ণাঢ্য সংবর্ধনার আয়োজন করায় শিক্ষক সমিতির সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সম্মান অর্জন করা সহজ। কিন্তু ধরে রাখা কঠিন। সেই কঠিন দায়িত্ব এখন আপনাদের কাঁধে। আশা করি শিক্ষা ও গবেষণায় আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি, অন্যান্য সব ক্ষেত্রেও এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। যবিপ্রবিকে বিশ্বের বুকে ছড়িয়ে দিতে হবে।

আলোচকরা বক্তব্য শুরুর আগে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতি একুশে পদক-২০২২ প্রাপ্তিতে তার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

সমিতির সভাপতি ড. সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. মেহেদী হাসান, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ, যবিপ্রবির জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে যবিপ্রবি উপাচার্যের জীবনী পাঠ করেন শিক্ষক সমিতির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহীন সরকার।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. আশরাফুজ্জামান জাহিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়:  ২১৩২ ঘণ্টা, ১৩ মার্চ, ২০২২
ইউজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।