ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

অপপ্রচারে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
অপপ্রচারে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারের কারণে কোনো কোনো অভিভাবক ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে এখনও ভয় পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণভবন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ শেষে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, যদিও কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে অনেক অপপ্রচার চলছে। এ কারণে কোনো কোনো অভিভাবক হয়তো একটু ভয় পাচ্ছেন। ভাবছেন ছেলে-মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাবেন কি পাঠাবেন না। শিক্ষার্থী নিজে অথবা বাড়িতে কেউ অসুস্থ হলে আমরা তাদের একেবারে না করে দিচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, যারা এবারের এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থী তারা প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতো। এখন দেখা যাচ্ছে তাদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তারা তাদের সিলেবাস সম্পূর্ণ করেছে। এ কারণে হয়তো কম আসছে।

ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বসে বিচার-বিশ্লেষণ করবো।

শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যাদের বয়স ১৮ বছর হয়ে যাবে তারা শিক্ষার্থী হিসেবে নিবন্ধন করতে পারবে। তারা পরীক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বা উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষেরই হোক।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে অধিকাংশ জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। কিন্তু যেখানে খুব ভালোভাবে মানা হচ্ছে সেখানে বাবা-মায়েরা ভিড় করছেন। এতে তারা সংক্রমণের একটা কারণ হতে পারেন। আমরা চাই অভিভাবকরাও সচেতন হবেন। তারা সচেতন না হলে শিক্ষার্থীরা সংক্রমিত হতে পারে। এখনও বড় আকারের সংক্রমণ ঘটেনি। ইন্ডিভিজ্যুয়াল কেস আছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিভাবকদের করজোড়ে অনুরোধ জানাবো- বাচ্চাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে রেখে চলে যাবেন। একাধিক অভিভাবক আসবেন না।

দীপু মনি বলেন, সংক্রমণ নিয়ে লুকানোর কিছু নেই। কোথাও সংক্রমণ হলে সঙ্গে সঙ্গে বের করার চেষ্টা করি। কারণ আপনি বাড়িতে বা আসার পথে সংক্রমিত হতে পারেন। এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভেতরে কেউ সংক্রমিত হয়নি। একটা হোস্টেলে তিনজন শিক্ষার্থীর সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। সেই হোস্টেল এবং ক্লাস বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে জেনে নেবেন সেখানে সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে কিনা? অভিভাবকরা আস্থা রাখতে পারেন। আমরা বলছি না ছেলে-মেয়েদের  পাঠাতেই হবে।

মন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ চার শতাংশের একটু ওপরে। সংক্রমণ ও মৃত্যু কমে আসছে। এখন সবকিছু খোলা। আমরা সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে এই অবস্থা আরও উন্নত হবে। জোর গতিতে টিকা কার্যক্রম চলছে।

এদিকে করোনাকালে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া নিয়ে দীপু মনি বলেন, বেশিরভাগ বন্ধ হয়েছে কিন্ডারগার্টেন। দেখা যাচ্ছে তারা ভাড়া বাড়ি নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন। তারা রেজিস্ট্রেশনভুক্ত নয়। তাহলে আমরা হয়তো প্রণোদনা দিতে পারতাম। সহযোগিতা চাইতে হলে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় চলে আসা উচিত। এতে তারা প্রণোদনা নেওয়ার সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১
এমআইএইচ/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।