ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন মেসবাহ কামাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন মেসবাহ কামাল

ঢাকা: বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে যোগদান করেছেন।

সোমবার (১৪ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি তিনি ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন।

প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে ড. মেসবাহ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের একজন অধ্যাপক ছিলেন। তিনি পিপলস্ হিস্ট্রি রিসার্স ইনিস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কালেকটিভ (আরডিসি) চেয়ারপার্সন। তিনি ভারতের জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়া, তিনি তার কর্মজীবনের শুরুর দিকে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসেও যুক্ত ছিলেন।

অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল দেশে ও বিদেশে ৪০ বছরেরও অধিক সময়কালীন শিক্ষকতাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। তার ২৯টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শতাধিক আর্টিক্যাল এবং বুক চ্যাপ্টার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রিসার্চ জার্নালে ও বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৬ সালে তিনি পিপলস্ হিস্ট্রি বিষয়ক গবেষণার জন্য ভারতের আচার্য দিনেশ চন্দ্র সেন স্বর্ণপদক অর্জন করেন। তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত জার্নাল অব কলকাতা সোসাইটি ফর এশিয়ান স্টাডিজ এবং দিল্লি থেকে প্রকাশিত দলিত ভয়েস জার্নালের এডিটোরিয়াল সদস্য ছিলেন।

ইথনিসিটি ও মার্জিনালিটি বিষয়ে অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল দেশের অন্যতম টেকানক্যাল এক্সপার্ট। আর্থসামাজিক উন্নয়নে অনগ্রসর জাতি ও সম্প্রদায়গুলো এবং তাদের অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। এছাড়া তিনি শিক্ষা, দারিদ্র্য, অসমতা, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, সংস্কৃতি, মানবাধিকার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন।

তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা, আলোচনা সেমিনার এবং সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে নারী, শিশু, আদিবাসী জনগোষ্ঠী, দলিত, কৃষিশ্রমিক এবং অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে নীতি-নির্ধারক পর্যায়ে পরামর্শ দিয়েছেন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে বিভিন্ন গনমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে ভূমিকা রাখেন। তিনি আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্পর্কিত সংসদীয়, ককাসের একজন টেকনোক্রাট সদস্য এবং সমন্বয়ক।

অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বাংলা একাডেমি, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, পশ্চিমবঙ্গ ইতিহাস সংসদ-ভারত, অ্যাসোসিয়েশন ফর হিস্টোরিক্যাল স্টাডিজ-ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের ইতিহাস সমিতির একজন আজীবন সদস্য।

অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে শিক্ষাবিদ হিসেবে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি মানবাধিকার, শ্রম-অধিকার, ক্ষুদ্রঋণ, পল্লী উন্নয়ন এবং পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২১
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।