ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

৯ জীবনবৃত্তান্তে ১৪১ জনের নিয়োগ!

রাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
৯ জীবনবৃত্তান্তে ১৪১ জনের নিয়োগ! রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাবি: মেয়াদের শেষ দিনে ক্যাম্পাস ত্যাগের আগে অ্যাডহকে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের নিয়োগের ওপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপেক্ষা করেই গণনিয়োগ দিয়েছেন তিনি।

 

এ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছে। এবার অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের অধিকাংশই জীবনবৃত্তান্ত জমা না দিয়েই নিয়োগ পেয়েছেন। ১৪১ জনের মধ্যে মাত্র ৯ জন ছাড়া অন্যদের জীবনবৃত্তান্ত পায়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অ্যাডহকে নিয়োগ দিতে স্থায়ী পদে নিয়োগের মত আবেদন করতে হয় না। সেক্ষেত্রে ন্যূনতম আবেদন হিসেবে প্রার্থীর জীবনবৃত্তান্ত সংস্থাপন শাখায় জমা রাখার নিয়ম প্রচলিত। কিন্তু নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে মাত্র ৯ জনের জীবনবৃত্তান্ত পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র তদন্ত কমিটি নিয়ে গেছে। অন্যদের জীবনবৃত্তান্ত বা কোনো কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে উপাচার্যের কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্ত হয়েছে। সেই তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা পেয়েছি। গত ৫ মে কাগজপত্র প্রস্তুত করে ৬ মে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে মাত্র ৯ জনের জীবনবৃত্তান্ত পেয়েছি। অন্যদের জীবনবৃত্তান্ত মেলেনি। ফলে এই নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, তদন্ত এখনও চলমান আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেব।

গত ৬ মে উপাচার্য হিসেবে শেষ কার্যদিবস পালন করেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। মেয়াদের শেষ দিনেই অ্যাডহকে নিয়োগ দেন ১৪১ জনকে। এর মধ্যে শিক্ষক পদে ৯ জন, কর্মকর্তা পদে ২৩ জন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পদে ৮৫ জন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে ২৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান, স্ত্রী ও স্বজন, ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন।

বিতর্কিত এই নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে সেদিন সন্ধ্যায় একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তার সঙ্গে রয়েছেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকির হোসেন আখন্দ ও ইউজিসির পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।