ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

খুবির ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের কর্মসূচি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
খুবির ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের কর্মসূচি ...

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহিষ্কারের ঘটনায় প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) অনলাইন সংবাদ সম্মেলন থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আরাফাত রহমান এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাইদুল ইসলাম।

এতে অংশ নেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা।

সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দেশব্যাপী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপযুক্ত স্থানে একযোগে দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থী-শিক্ষক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি যে, শিক্ষার্থীদের পাঁচদফা দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করার জন্য শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করে বর্তমান প্রশাসন তার সমস্ত স্বেচ্ছাচারিতার ইতিহাস চাপা দিতে চেয়েছে। প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্তর দুর্নীতি এবং কতিপয় শিক্ষকের নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ গণমাধ্যমে উঠে আসার পর সকলের মনোযোগ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য প্রশাসন গর্হিত এ কাজটি করেছে। আমরা এও মনে করি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গণতান্ত্রিক চেতনা ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ক্ষতিগ্রস্ত করার এক সুবিশাল চক্রান্তের অংশ এগুলো। আমরা অনতিবিলম্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক ও দুজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক শাস্তি উঠিয়ে নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। এই শাস্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল সার্বভৌম শিক্ষকদের একটা ভয়প্রদানের সংকেত দিচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের শিক্ষায়তনগুলোকে আরও ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এইসব অর্থলোভী, অগণতন্ত্রী, প্রতিহিংসাপরায়ণ ব্যক্তিদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক দায়ত্বি না দিতে দাবি জানাচ্ছি। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ভবিষ্যৎ আপনাদের হাতে। আমরা সবাইকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানাই। ’

সংবাদ সম্মেলন থেকে চারটি দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো-খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শাস্তি অবিলম্বে বাতিল করা, প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ সব অভিযোগের তদন্ত করা, অযোগ্য-দুর্নীতিবাজ ভিসি নিয়োগ বন্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বিধিতে গণতন্ত্রায়ণ ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাঁড়ানোর ‘শাস্তি’ হিসেবে শিক্ষকদের ভয় দেখানো বন্ধ করা।

বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
এসকেবি/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।