ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

রাসিক মেয়রের সঙ্গে রাবির দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকদের সাক্ষাৎ

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২০
রাসিক মেয়রের সঙ্গে রাবির দুর্নীতি বিরোধী শিক্ষকদের সাক্ষাৎ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাবি: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খাইরুজ্জামান লিটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্নীতি বিরোধী’ শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে নগরভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে শিক্ষকদের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষকদের মুখপাত্র ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু।  

বৈঠকে শিক্ষকরা রাবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ে অবহিত করতে রাসিক মেয়রকে অনুরোধ করেন। আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নানাভাবে হয়রানি করছে বলেও বৈঠকে শিক্ষকরা জানান।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) দাখিল করা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতির তথ্য-উপাত্ত সম্বলিত ৩০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রটি রাসিক মেয়রকে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম টিপু বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অপ্রতিরোধ্যভাবে যে নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি চলছে এসব বিষয়ে মেয়রকে অবহিত করেছি। এছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষকদের হয়রানি-নির্যাতন, উড়ো চিঠি দিয়ে হুমকি দেওয়া, মিছিল-মিটিং, হইচই চলছে। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছেন। এসব বন্ধ করে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ইউজিসি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরও উপাচার্য একই প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ স্বজনপ্রীতি ও নিয়োগ-বাণিজ্যের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে আসছেন। মেয়র যেহেতু আমাদের স্থানীয় অভিভাবক ও নগরপিতা। তাই ওনাকেও সার্বিক পরিস্থিতি অবহিত করেছি। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের কথা শুনেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি অবগত হয়ে তিনি মর্মাহত, উদ্বিগ্ন ও লজ্জিত হয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।  

মেয়র শিগগিরই উপাচার্যের সঙ্গে এসব বিষয়ে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানান অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম টিপু।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এসএম এক্রাম উল্যাহ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদীসহ প্রায় ৫০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২০
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।