ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

এমসি কলেজে ধর্ষণ: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এমসি কলেজে ধর্ষণ: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি

ঢাকা: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে গণধর্ষণের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) তিন সদদ্যের কমিটি গঠন করেছে।


 
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীকে করা হয়েছে কমিটির আহ্বায়ক।
 
অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালককে (কলেজ) সদস্য এবং মাউশির সহকারী পরিচালককে (কলেজ-১) কমিটিতে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে সম্প্রতি সংঘটিত ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় কোনোরূপ ঘাটতি ছিল কিনা তা সরেজমিন তদন্ত করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবার দায়-দায়িত্ব নিরূপণ করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে হবে।
 
এই কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন ও সাত কর্মদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
গণধর্ষণের মামলায় ছয়জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তারা হলেন- প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, ৩ নম্বর আসামি মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর ৫ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম ও মামলার সন্দেহভাজন আসামি রাজন ও তার সহযোগী আইনুল।
 
গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটক রেখে এক নারীকে ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পত্তিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীসময়ে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
 
পুলিশ জানায়, দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেটকারে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন। তারা টিলাগড়কেন্দ্রিক আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রনজিত সরকার গ্রুপের অনুসারী।
 
এ ঘটনায় পরিদিন ভোরে ছয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরো ২-৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় এ মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার ওই নারীর স্বামী।
 
ঘটনার পর অভিযানে নেমে সাইফুরের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আলাদা আরেকটি মামলা দায়ের করে শাহপরান (র.) থানা পুলিশ। ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুর রহমানকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
 
এ ঘটনায় এমসি কলেজর দুই দারোয়ানকে সাময়িক বরখাস্ত করে কলেজ কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad