ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

বরিশালে চলছে একাদশে ভর্তি, বাড়তি ফি রাখার অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০
বরিশালে চলছে একাদশে ভর্তি, বাড়তি ফি রাখার অভিযোগ কলেজ প্রাঙ্গণে ভর্তিচ্ছুদের সারি। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: সারাদেশের মতো বরিশালেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারি কলেজগুলোর বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগ না থাকলেও বেসরকারি কলেজে সরকার নির্ধারিত ফি থেকে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবক ও ভর্তিচ্ছুরা।

তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে বৈধ বলে দাবি করলেও বোর্ড প্রশাসন বলছে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি অভিযোগের সত্যতা পেলে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বরিশাল বোর্ডের অধীনে ৬ জেলায় সাড়ে ৩ শত কলেজে একাদশ শ্রেণির ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়। গেলো পরীক্ষার ফলাফলে বরিশাল বোর্ডে ৮৯ হাজার ৬৩৪ জন পরীক্ষার্থী এসএসসিতে উত্তীর্ণ হয়। আর সেখান থেকে ভর্তির জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা ৭৮ হাজার ৫৬২ জন, যদিও এখন পর্যন্ত ভর্তি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ৬৫ হাজার ৩৩৮ জনে।

অপরদিকে শিক্ষাবোর্ডে এবারে মোট আসন সংখ্যা দেড় লাখের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন কলেজ পরিদর্শক মো. লিয়াকত হোসেন।

এদিকে শুরু হওয়া ভর্তির কার্যক্রমের প্রথম দিনেই বরিশাল নগরের বেসরকারি অমৃত লাল দে কলেজে সরকার নির্ধারিত ৩ হাজার টাকার স্থলে দুটি আলাদা ভাইচারে ৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও বাড়তি এ টাকা নেওয়ার। .যদিও নিয়মের মধ্যে থেকেই বাড়তি ২ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ স‌ুভাষ চন্দ্র পাল।

তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত নিয়মে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফি ৩ হাজার টাকা রাখা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। এর বাইরে বেসরকারি কলেজের জন্য প্রদত্ত নিয়মানুযায়ী উন্নয়ন ফান্ডে নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার টাকা এবং চলতি শিক্ষাবর্ষের জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন ও ফরম বাবদ ১ হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, উন্নয়ন ফান্ডে আমাদের সর্বোচ্চ দেড় হাজার টাকা নেওয়ার অনুমতি রয়েছে, সেখানে কলেজ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ১ হাজার টাকা নিচ্ছি। আর শিক্ষার্থীদের বেতন না নেওয়ার বিষয়ে আমাদের নিষেধ করেনি কোন কর্তৃপক্ষ। তাই আমরা সেটি নিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যে টাকা নেওয়া হচ্ছে, তা সিট প্রাপ্তির মাধ্যমে পরবর্তীতে ঠিক করে দেওয়া হবে। এতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না, আবার ভর্তির সময় অনেক গরিব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আমরা কম টাকাও নিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০
এমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।