ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

করোনার মধ্যেই পরীক্ষা নেবে আইসিএসবি, ক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
করোনার মধ্যেই পরীক্ষা নেবে আইসিএসবি, ক্ষোভ পরীক্ষার্থীদের

ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও এ পরিস্থিতির মধ্যেই পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি)।  

আগামী ১৪ আগস্ট থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন লেভেলের পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করা হয়েছে, যা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানটির বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই পরীক্ষায় বসতে চাইছেন না।

পরীক্ষার্থীরা বলছেন, পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণায় পরীক্ষার্থীদের করোনা ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অধিভুক্ত এ প্রতিষ্ঠানটি। বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করেছেন পরীক্ষার্থীরা। আইসিএসবি কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশে সবকিছু খুলে যাচ্ছে, তাই সেশনজট এড়াতে সেফটি মেজার নিয়ে পরীক্ষা নেবেন।

দেশের লিস্টেড কোম্পানির সেক্রেটারি হওয়ার জন্য চার্টার্ড সেক্রেটারি (সিএস) ডিগ্রি প্রয়োজন পড়ে, আর আইসিএসবির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কোর্স শেষে সনদ দেওয়া।

ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা বলছেন, করোনার কারণে সবধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও সরকারি নির্দেশনা মানছে না আইসিএসবি। চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অ্যাক্ট, ২০১০ সালের আইনবলে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত পরিচালিত হয়ে আসছে। এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের ছয়টি লেভেলের মধ্যে ফাউন্ডেশন লেভেল, লেভেল ওয়ান, টু, থ্রি এবং প্রফেশনাল লেভেল ওয়ান এবং টু। সব লেভেরের পরীক্ষা একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়।

পরীক্ষার্থীদের দাবি, একদিকে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি, অন্যদিকে করোনার কারণে পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতেও ভাটা রয়েছে। এ অবস্থায় পরীক্ষা নিলে উভয় দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে তাদের।

আইসিএসবির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি শামিবুর রহমান মঙ্গলবার বাংলানিউজকে বলেন, পরীক্ষা না নিলে সেশনজটের মধ্যে পড়ে যাবো। ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) ও দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) করোনার মধ্যে গত ৮ আগস্ট থেকে পরীক্ষা নিচ্ছে। আমরাও পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আমরাও সেফটি মেজার নিয়ে পরীক্ষা নেবো। ‘তাছাড়া দেশে এখন ধীরে ধীরে সবকিছু খুলে যাচ্ছে। আমরাও পরীক্ষা নেওয়ার সূচি প্রকাশ করেছি। ’

পরীক্ষার্থীরা বলছেন, এ ধরনের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান স্বায়ত্তশাসিত, একটির সঙ্গে আরেকটির কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু করোনার মধ্যে পরীক্ষা নিয়ে ঝুঁকির মধ্যেই ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তারা কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা থেকে সরে আসার অনুরোধ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।