ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

রাবিতে সভাপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২০
রাবিতে সভাপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। অপেক্ষাকৃত জুনিয়র অধ্যাপককে সভাপতি নিয়োগ দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিনিয়র এক অধ্যাপক।

জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী সভাপতি হওয়ার কথা ছিল অধ্যাপক ড. মু আলী আসগরের। কিন্তু নিয়োগ পেয়ছেন অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদ।

ড. মু আলী আসগরের অভিযোগ, গত বছর বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ইস্যুতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছিলেন তিনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করেন। এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার প্রতি ক্ষিপ্ত। জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে বিভাগের সভাপতি নিয়োগ এরই বহিঃপ্রকাশ। যা উদ্দেশ্যমূলক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এ বর্ণিত 'জ্যেষ্ঠতার নিয়ম' লঙ্ঘন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই বিভাগের একটি অনিয়মের ঘটনায় অধ্যাপক ড. মু আলী আসগরের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এ কারণে বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় তাকে সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তিনি নিয়োগ পাবেন।

বিভাগটির বর্তমান সভাপতির মেয়াদ শুক্রবার (৮ মে) শেষ হওয়ার কথা। তবে অধ্যাপক আজগরের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার (৭ মে) তার চেয়ে জুনিয়র অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদকে নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ক্রপ সায়েন্স বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অধ্যাপক ড. আলী আসগর উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মু আলী আসগর বলেন, গত বছর বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ইস্যুতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলাম। ওই সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে রিট প্রত্যাহার করতে ফোর্স করা হয়। কিন্তু আমি আমার সিদ্ধান্তে অনড় থাকি এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই নিয়োগ হাইকোর্ট বাতিল ঘোষণা করেন। এ ঘটনার জেরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার প্রতি ক্ষিপ্ত। তাই প্রশাসন আইন অমান্য করে বিভাগে সভাপতি নিয়োগ দিয়েছে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এম এ বারী বলেন, অধ্যাপক আসগরসহ বিভাগের আরও দু্ইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যেমূলকভাবে অকৃতকার্য করানোর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগটি এখনো তদন্তাধীন থাকায় বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় তাকে সভাপতি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলে তিনি নিয়োগ পাবেন।

বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যেমূলকভাবে অকৃতকার্য করানোর অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. মু আলী আসগর বলেন, কোনও শিক্ষার্থী অভিযোগ না করা সত্ত্বেও আমার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। তাছাড়া ওই ঘটনায় আমার কোনও শাস্তি হয়নি। তাহলে কেন আমাকে সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে না?

বাংলাদেশ সময়: ১১২৪ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad