ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

‘শ্রমিকদের জন্য হাওর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
‘শ্রমিকদের জন্য হাওর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিন’

ঢাকা: হাওরের ধান কাটতে আসা শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করতে এসব এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন। 

সচিবের এই আহ্বানের পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে হাওর এলাকায় এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ।

তিনি জানান, করোনার এই সময়ে বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকেরা গেলে স্কুলে থাকাকালীন তাদের আইসোলেশনও নিশ্চিত হবে।

হাওরে ধান কাটার জন্য এই সিদ্ধান্ত সবাই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। বিষয়টি তারা মনিটরও করবেন।  

সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা সচিব ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকদের স্কুল খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।  

তিনি লিখেছেন, ‘প্রিয় প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বৃহত্তর সিলেট এবং কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলার হাওর অঞ্চলের জেলাসমূহে বোরো ধান কাটার সময় শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যার পূর্বাভাস সতর্কীকরণ আগাম বন্যার আভাস  দিয়েছে। হাওর এলাকায় বছরে একবারমাত্র ফসল ফলে। এই ফসল আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাওর এলাকার চাহিদা পূরণ করে এই উৎপাদিত ধান দেশের অন্য অঞ্চলের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ করে। এবার করোনা ভাইরাসের প্রভাবের ফলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খাদ্য সংকট হতে পারে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। সেদিক দিয়ে হাওর অঞ্চলের ধান যথাসময়ে এবং দ্রুততার সঙ্গে হারভেস্ট করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবারের সন্মানিত সদস্যরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। ’ 

‘ধান কাটার জন্য এলাকার বাইরে থেকে আসা শ্রমিকদের থাকার জন্য হাওর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে শ্রমিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকটে সন্মানিত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা তাদের এলাকার তাদের প্রাক্তন ছাত্র যারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে যাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন বন্ধ এবং যারা লেখাপড়া না করে অলসভাবে সময় কাটায় তাদের উদ্বুদ্ধ করে এই চরম বিপদের সময় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কাজ করতে পারেন। আমার বিশ্বাস আপনারা যদি আপনাদের প্রাক্তন ছাত্রদের প্রকৃতভাবে অনুরোধ করেন এবং উদ্বুদ্ধ  করেন তবে তারা আপনাদের অনুরোধ শুনবে। কারণ আমরা আমাদের শিক্ষকদের কথা কখনো অমান্য করি না। ’

তিনি লিখেছেন, হাওর অঞ্চলের সব ডিপিওদের আমার পক্ষে এই বার্তাটি সব হাওর অঞ্চলের সন্মানিত শিক্ষকসম্প্রদায়কে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। আশা করি তারা আমার এই আবেদন সবার কাছে পৌঁছে দেবেন। আসুন সবাই মিলে এই সংকটকালে মানুষের পাশে দাঁড়াই। নিজে ভালো থাকি, মানুষকে ভালো রাখি এবং দেশকে ভালো ও নিরাপদ রাখি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
এমআইএইচ /এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।