ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

সদা প্রাণচঞ্চল ক্যাম্পাস এখন সুনসান

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
সদা প্রাণচঞ্চল ক্যাম্পাস এখন সুনসান সদা প্রাণচঞ্চল ঢাবি ক্যাম্পাস এখন সুনসান। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বসন্তের এ দিনে একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ক্যাম্পাসগুলো জমজমাট থাকার কথা। রাস্তায় ছেলেমেয়েদের ভিড় আর হই-হুল্লোড়। অথচ চিত্র এখন একেবারে উল্টো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের কোনো কোণেই নেই একজন শিক্ষার্থী।

ঈদ বা রমজান উপলক্ষে হওয়া দীর্ঘ ছুটিতেও দেশের ক্যাম্পাসগুলো এরকম খালি থাকে না। বরং তখন আশপাশের এলাকার মানুষ দলবেঁধে ঘুরতে চলে আসেন ক্যাম্পাসে।

কিন্তু এখন কোনো উৎসবের ছুটি, আন্দোলন-অবরোধ বা পরীক্ষা শেষে ঢিলেঢালা দিন না হলেও করোনা ভাইরাসের প্রকোপে পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে গেছে দেশের প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

রোববার (১২ এপ্রিল) সরেজমিনে ঢাবি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, ছুটিতে সব শিক্ষার্থীই চলে গেছেন বাড়িতে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পুরোটাই এখন ফাঁকা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি আবাসিক হলের সব হলগুলোও খালি। সব শিক্ষার্থীই বাড়ি চলে গেছেন। বন্ধ হয়ে গেছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের মেসগুলোও।

সদা প্রাণচঞ্চল ঢাবি ক্যাম্পাস এখন সুনসান।  ছবি: শাকিল আহমেদবিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, কলা ভবন, ভিসি চত্বর, কার্জন হল, পলাশীর মোড় এবং বিজয় একাত্তর হলের সামনেসহ যেসব জায়গাগুলো সর্বদা শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর হয়ে থাকতো, সেখানে এখন চোখে পড়ে না চিরচেনা আড্ডা। চারদিক সুনসান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক লাইব্রেরির ভেতরে একটু ঢুঁ মারলেই ক্যাম্পাস ফাঁকা হওয়ার প্রভাব সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায়। আগে যেখানে লাইব্রেরিতে একটি সিট পাওয়ার আশায় ভোর থেকেই শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেতো, সেখানে এখন নেই কোনো মানুষ।

সদা প্রাণচঞ্চল ঢাবি ক্যাম্পাস এখন সুনসান।  ছবি: শাকিল আহমেদএছাড়াও ভিসির বাসভবন চত্বরের সামনে থেকে টিএসসির দিকে এগুলে বামে কলা ভবন পার হয়ে রোকেয়া হলের গেটে গিয়ে দেখা গেছে পুরোটাই নীরব। গেটের সামনে নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা, মূল ফটকও তালাবন্ধ। কয়েকজন নিরাপত্তা প্রহরী ছাড়া দেখা মেলেনি কারো। সংরক্ষিত প্রবেশ অধিকারও।

এ প্রসঙ্গে এ এলাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, এমন ফাঁকা ক্যাম্পাস এর আগে কখনো দেখিনি। কোনো কোলাহল নেই, মুখরতা নেই। একদিকে যেমন এ নীরবতা সুন্দর লাগে, আরেকদিকে আবার এতেই কষ্ট হয় ভীষণ।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন গ্রুপ থেকে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার জন্য অনেকেরই মন অস্থির হয়ে উঠেছে। কিন্তু ঘর থেকে বের হওয়ারও উপায় নেই। তাই এখন শুধু অপেক্ষা আর প্রত্যাশা সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে ওঠার।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
এইচএমএস/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।