ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

গোপনে নথি সরানোর অভিযোগে ইবি কর্মকর্তাকে শোকজ

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
গোপনে নথি সরানোর অভিযোগে ইবি কর্মকর্তাকে শোকজ

ইবি: প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে গোপনে ফাইল সংগ্রহ করে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্বাবদ্যালয়ের (ইবি) আনিছুর রহমান নামে এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। 

এ ঘটনায় শনিবার (২১ মার্চ) ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জমান টুটুল দপ্তরের নিরাপত্তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।

অভিযুক্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান প্রকৌশল অফিসের শাখা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামানের সহকারী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত।

এদিকে, এ ঘটনায় আনিছুর রহমানকে প্রকৌশল অফিস থেকে বদলি করে শেখ রাসেল হলে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

এসময় তিনি বলেন, প্রধান প্রকৌশলীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বদলি এবং শোকজ করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের নোটিশের জবাব চাওয়া হয়েছে। শোকজের জবাবের ভিত্তিতে তার বিরূদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লিখিত অভিযোগ আলিমুজ্জামান টুটুল জানান, শুক্রবার (২০ মার্চ) আনুমানিক সকাল ১০টায় আমার অফিসের কর্মচারী মিন্টু শেখ অফিসের সামনে এসে দেখেন, অফিসের দোতলার গেট বন্ধ কিন্তু তালা নেই। তখন তিনি ভয় পেয়ে উপর উঠে দেখেন গেট আটকানো কিন্তু তালা ভেতরের দিকে লাগানো।

তখন তিনি গেটটি খুলে ভেতরে ঢুকে দেখেন, আনিছুর রহমান ভেতরে টেবিলে বসে একটি ফাইল উল্টা পাল্টা করছেন। তাকে দেখে আনিছ ভয় পান। এসময় মিন্টু দেখতে পান আনিছের রুমের দিকের প্রধান প্রকৌশলীর রুমের দরজাটি খোলা (অথচ এটা লক করা ছিল)।

লিখিত অভিযোগে টুটুল আরো জানান, আনিছু খারাপ উদ্দেশ নিয়ে আমার অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সংগ্রহ করে সেটার তথ্য বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ করে থাকেন। ইতোপূর্বে তিনি এ ধরনের কাজ করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। আমি অফিসে খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আনিছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমি আমার মোটরসাইকেলের চাবি আর ব্যাংকের চেক আনতে আমার অফিসে গিয়েছিলাম। চাবি এবং চেক নিয়ে আমি সেখান থেকে চলে আসি। আমি স্যারের কক্ষে যায়নি। কর্মচারী মিন্টু আর মোর্শেদ স্যারের রুমে ঢুকেছিল ফ্রিজ থেকে কিছু খাদ্য সামগ্রী বের করতে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭ টাকার উন্নয়ন প্রকল্পে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিতে বিভিন্ন হুমকির কারণে ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলিমুজ্জামান টুটুল ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ইবি থেকে রিজাইন নেওয়ার কথা জানান। পরবর্তীতে গত ১৮ মার্চ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।