ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

করোনা: ঢাবি প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিল ছাত্র ইউনিয়ন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
করোনা: ঢাবি প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিল ছাত্র ইউনিয়ন সংবাদ সম্মেলন। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন।

রোববার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এ সময় দেয় সংগঠনটি।

এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেঘমল্লার বসু।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ।

সংবাদ সম্মেলন থেকে যেসব দাবি উত্থাপন করা হয়, ৪৮ ঘণ্টার ভেতর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, মেডিক্যাল সেন্টারের পূর্ণ আধুনিকায়ন করে ৪৮ ঘণ্টার ভেতর সেখানে করোনা শনাক্তকরণের জন্য যথাযথ স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা করা, মেডিক্যাল সেন্টারের শয্যা সংখ্যা ২০০ এবং চিকিৎসকের সংখ্যা ১০০ উন্নীত করা ও পর্যায়ক্রমে অ্যাম্বুলেন্স সাখ্যা ৫০ এ উন্নীত করা, প্রতিটি হলে গণরুম ব্যবস্থা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের অন্তত দ্বৈতাবাসিক সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা এবং কোয়ারেন্টাইন উপযোগী স্থান প্রস্তুত করা।

প্রতিটি হলে অস্বায়ী চিকিৎসক নিয়োগ এবং একইসঙ্গে প্রতিটি হলে একটি করে ফার্মেসি স্থাপন করা, যা সপ্তাহে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। ক্যাম্পাসের সব শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যালিটাইজার পৌঁছে দেওয়া। বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষকদের হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির প্রকল্পে সর্বোচ্চ বিনিয়োগ করা যাতে তাদের অর্থ স্বল্পতায় ভুগতে না হয়।

মেঘমল্লার বলেন, যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উপরের সবক’টি দাবির কোনোটির একটিও পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে নিজেদের অক্ষমতা স্বীকার করে ৪৮ ঘণ্টার ভেতর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করতে এবং হলগুলোকে অনিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে, জীবনের ঝুঁকি নিতে নয়। এ কারণে আমাদের এই আট দফ দাবি বাস্তবায়নের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দুইদিন, অর্থাৎ ৪৮ ঘটা সময় বেঁধে দিচ্ছি। প্রশাসন যদি মনে করে এটি যথেষ্ট সময় নয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখাই সবার জন্য সবচাইতে নিরাপদ। অনেকে বলছেন, এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখলে আতঙ্কের সৃষ্টি হতে পারে, যা অনভিপ্রেত। কিন্তু আমরা তাদের বলে দিতে চাই, যেকোনো লাভ ক্ষতির হিসেবের চেয়ে আমাদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২০
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।