ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে খুবিতে নানা কর্মসূচি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২০
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে খুবিতে নানা কর্মসূচি ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে খুবিতে নানা কর্মসূচি। ছবি: বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

শনিবার (৭ মার্চ) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মিত ‘কালজয়ী মুজিব’ বেদীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য শ্রদ্ধা জানান।



এ সময় উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় পরিচালক, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টরা।
 
পরে ‘কালজয়ী মুজিব’ বেদীতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিভিন্ন ডিসিপ্লিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, কর্মচারীরা ও শিক্ষার্থীদের সংগঠন বায়স্কোপের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। যা শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে শুরু করে হাদি চত্বর হয়ে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এদিকে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও প্রদর্শনী করা হয়।

মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।

তিনি বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পরিপ্রেক্ষিত অনেক আগেই তৈরি হয়েছিলো। বাঙালি জাতি হাজার বছর ধরে যে স্বপ্ন লালন করে আসছিলো তার বহিঃপ্রকাশ হয়েছিলো ৭ মার্চের এ ভাষণের মধ্য দিয়ে। বঙ্গবন্ধু সেদিন রাষ্ট্রনায়কোচিত ভাষণ দেন। তিনি সেদিন জনসমুদ্রে নানা চাপ, তুমুল আবেগ ও অগ্নিগর্ভ উত্তেজনা এবং বাঙালির আকাঙ্ক্ষার ওপর দাঁড়িয়ে নিয়ন্ত্রিত, দূরদর্শী, ভবিষ্যৎ দ্রষ্টার মতো দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ দেন, যার তাৎপর্য ও গুরুত্ব সমগ্রজাতি উপলব্ধি করে এবং তাদের মুক্তিমন্ত্রে উজ্জীবিত করে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অ্যাগ্রোটেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান ও কর্মকর্তাদের মধ্যে উপ-পরিচালক অর্থ ও হিসাব শেখ মুজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।  

এর আগে প্রজেক্টরে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও দিনের অন্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে বিকেল ৪টায় অদম্য বাংলা চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পরে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভিডিও এবং  চলচ্চিত্র প্রদর্শন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২০
এমআরএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।