ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রের মাথা ফাটালেন শিক্ষক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রের মাথা ফাটালেন শিক্ষক

মাদারীপুর: মাদারীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এক শিক্ষার্থীকে হার্ডবোর্ড দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্র সচিব ও উপজেলা প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষককে পরীক্ষার সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

জানা যায়, সকালে ওই কেন্দ্রে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং পরীক্ষা দিকে রুমে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থী রাকিবুল মৃধা। পরীক্ষা শুরু হলে রাকিবুল তার উত্তর পত্রে ও এমআর পূরণ করছিল না এই অভিযোগে ওই কক্ষের দায়িত্বরত পরিদর্শক আবুল হোসেন তার ওপর ক্ষিপ্ত হন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর ব্যবহৃত হার্ডবোর্ড তার দিকে ছুড়ে মারেন। হার্ডবোর্ড লেগে শিক্ষার্থী রাকিবুলের মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। খবর পেয়ে অন্য শিক্ষকরা দ্রুত এসে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। এতে ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা ৩০ মিনিটের মতো বিঘ্ন হয়। এ ঘটনায় কেন্দ্র সচিব হুমায়ন কবির তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেনকে সকল প্রকার পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেন।  

আহত শিক্ষার্থী মাদারীপুর পৌর শহরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি গ্রামের জব্বার মৃধার ছেলে।  

অভিযুক্ত শিক্ষক আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের খণ্ডকালীন ইংরেজি শিক্ষক।

অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ইচ্ছে করে ওই শিক্ষার্থীকে হার্ডবোড ছুঁড়ে মারিনি। তাকে বার বার বলার পরেও উত্তরপত্রের ওএমআর শিট ঠিক করছিল না। পরে তার হার্ডবোর্ড রাগ হয়ে ছুড়ে মারলে কিছুটা কেটে যায়।

কেন্দ্র সবিচ হুমায়ন কবির বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষককে সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। ওই শিক্ষক আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের খণ্ডকালিন ইংরেজির শিক্ষক। তাকে ওই স্কুল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।