ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে দিনব্যাপী কর্মশালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে দিনব্যাপী কর্মশালা ..

ঢাকা: রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে ‘রিয়েল এস্টেট সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) গ্রিন ইউনিভার্সিটি থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) পূর্বাচল আমেরিকান সিটিস্থল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বিভিন্ন কোম্পানির তিন শতাধিক সেলস এক্সিকিউটিভরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উচ্চবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও আবাসন প্রকল্পে ঝুঁকছে। খাদ্য-বস্ত্রের পরেই তৃতীয় মৌলিক চাহিদা হলো বাসস্থান। আর এই চাহিদা পূরণে সরকারিভাবে যেমন নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তেমনি গড়ে উঠছে বেসরকারি অনেক বাণিজ্যিক প্রকল্প। মূলত অপার সম্ভাবনাময় এ খাতের ভবিষ্যৎ উন্নতির বিষয়টি মাথায় রেখেই দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আইইউবিএটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব।

তিনি বলেন, সবাই মাথা গোঁজার ঠাঁই চায়, এটা প্রয়োজন। আর এ কারণেই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আবাসন সেক্টরখাতটি এগোচ্ছে। শুধু তাই নয়, অর্থনীতিতে আয়ের বড় একটি অংশ রিয়েল এস্টেট থেকে আসছে। এ সময় তিনি এস্টেট কোম্পানিগুলোকে শহরের পাশাপাশি গ্রামেও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান মানুষের জন্য আবাসন প্রকল্প অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে, এক্ষেত্রে সবপর্যায়ের মানুষের কথা বিবেচনা করতে হবে। আবাসন প্রকল্প যেন শুধু উচ্চবিত্ত মানুষের জন্য গড়ে না ওঠে। কারণ, এটা মৌলিক অধিকার।

কর্মশালায় গ্রিন ইউনিভার্সিটির বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম আহমেদ ফারুকী, সহকারী অধ্যাপক মাহমুদ ওয়াহিদ রিয়েল এস্টেট সেলস স্ট্র্যাটেজি ও অনলাইন মার্কেটিংয়ের নানা দিক নিয়ে বক্তৃতা করেন।

পরে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সবার অংশগ্রহণে আয়োজিত র‌্যাফেল-ড্রতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের সৌজন্যে ঢাকা-সিঙ্গাপুর, ঢাকা-কুয়ালালামপুর ও ঢাকা-ব্যাংকক টিকিট দেওয়া হয়।

বক্তারা আরও বলেন, রাজধানীতে আবাসনখাতের চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সংখ্যা।

তারা বলেন, রাজধানীর জীবনযাত্রার মানে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই নিকটস্থল আবাসন প্রকল্পের দিকে ঝুঁকছে। উচ্চবিত্তের পাশাপাশি নিম্নবিত্তরাও এসব প্রকল্পে প্লট-ফ্ল্যাট কিনছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
টিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।