ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো শাবিপ্রবি প্রশাসন

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলো শাবিপ্রবি প্রশাসন দাবি মেনে নেওয়ায় শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল।

শাবিপ্রবি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে দাবি মেনে নেওয়ার লিখিত ঘোষণা দেন। এসময় দীর্ঘমেয়াদি দাবিগুলোও বাস্তবায়নের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

এদিকে দাবি মেনে নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে প্রশাসন যে আন্তরিকতা ও বন্ধুসুলভ আচরণ করেছে তার প্রতি সাধুবাদ জানিয়ে আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করেন তারা।

মেনে নেওয়া দাবিগুলো হলো: আনুষ্ঠানিক রোড পেইন্টিংসহ অন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও একাডেমিক কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুমতি দেওয়া হবে এবং না দিলে লিখিতভাবে কারণ জানানো হবে, সমাবর্তনের সময় হল বন্ধ রাখার সময়সীমা কমিয়ে শুধু ৮ জানুয়ারি হল বন্ধ রাখার ব্যাপারে সমাবর্তন নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, আবাসিক হলগুলো ৩৬৫ দিন খোলা থাকবে, ছাত্রীদের হলে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময়সীমা রাত সোয়া ১০টা ও সকালে সূর্যদয়ের ১৫ মিনিট পূর্বে ছাত্রীহল গেট খুলে দেওয়া হবে, টং দোকানগুলো বন্ধে কোনো বিধি নিষেধ থাকবে না, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান বাড়ানো ও দাম কমানোর ব্যাপারে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির ভেতর উদ্যোগ নেওয়া হবে, আগামী জানুয়ারি হতে রাত ১০টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা রাখা হবে, সংগঠনগুলোকে ভেন্যু বরাদ্দ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে এবং যেসব ভেন্যুতে অর্থ বরাদ্দের নিয়ম আছে তা মওকুফের ক্ষেত্রে আলোচনা করা হবে।

অন্যদিকে দ্বিতীয় ১০ দফা দাবি মেনে নিতে আগামী বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

গত ২০ নভেম্বর হল খোলা রাখার দাবিতে মানববন্ধনে ‘অনুমতি’ না নেওয়ার অজুহাত বাধা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। এর প্রতিবাদে পরদিন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রক্টরের আচরণ অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরচারী আখ্যায়িত করে আবারও বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

তৃতীয় সমাবর্তন ও শীতকালীন অবকাশে হল বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘিরে শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন শুরু হয়। এ প্রেক্ষিতে গত ১৮ দিন ধরে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।