ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

শাবিপ্রবি উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৯
শাবিপ্রবি উপাচার্যসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি)।

শাবিপ্রবি: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুই শিক্ষকের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

আপত্তি জানানো সত্ত্বেও বেতন থেকে স্বাস্থ্য বীমা বাবদ প্রতি মাসে ২৭১ টাকা কেটে নেওয়ায় মামলা করেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল হাই এবং পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আদালতের খারিজ করা মামলার কপি বাংলানিউজের হাতে এসে পৌঁছায়।

মামলার কপি থেকে জানা যায়, দায়ের করা মামলা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে সেটি খারিজ করে দেয় সিলেট দায়রা জজকোর্ট।

আদালতের ভাষ্য মতে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৮৭ সালের আইনে ৬০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও অন্য কর্মচারীদের কল্যাণে অবসর ভাতা, গোষ্ঠী বীমা, স্বাস্থ্য বীমা, কল্যাণ তহবিল, ভবিষ্যৎ তহবিল গঠন করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আইন থাকার কারণে আদালত দুই শিক্ষকের মামলা খারিজ করে দেন।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাঝামাঝি সময়ে অধ্যাপক ড. আব্দুল হাই ও সহযোগী অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সিলেট জজকোর্টে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।

মামলায় উপাচার্য ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, কোষাধ্যক্ষ, হিসাব পরিচালক ও প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্সের এমডিকে অভিযুক্ত করা হয়। অধ্যাপক ড. আব্দুল হাইয়ের মামলার নম্বর ১৬৫/১৯ ও ড. রফিকুল ইসলামের মামলার নম্বর ১৬৬/১৯।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কর্মকাণ্ড শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কল্যাণে করে থাকি। তবে তাদের কাছে কোনো বিষয় অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে হলে তারা আদালতের সহায়তা নিতে পারেন, এটা তাদের অধিকার।

তিনি বলেন, তারা মামলা করেছে এবং আদালত তাদের কথা শুনে যা সঙ্গতিপূর্ণ বলে বিবেচনা করেছেন, তার ওপর ভিত্তি করে রায় দিয়েছেন। আমি মনে করি আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।

এবিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. ইশফাকুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, দুই শিক্ষকের করা মামলা বিশ্ববিদ্যালয় আইনের পরিপন্থি হওয়ায় আদালত এ মামলা আমলে নেননি। আদালত সুবিচার করেছেন, এ মামলার কোন গ্রহণযোগ্যতাই নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো আব্দুল কুদ্দুস বলেন, অর্ডার ৭ রুল ১১(ডি) অনুযায়ী এ মামলা গ্রহণযোগ্যতা না পাওয়ায় উচ্চ আদালত তা খারিজ করে দিয়েছেন।

চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের মধ্যে একটি স্বাস্থ্য বীমা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, কিস্তির অর্ধেক টাকা পরিশোধ হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে বাকি অর্ধেক পরিশোধ করবেন শিক্ষকরা। বিনিময়ে শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে প্রগতি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।