ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ক্যাম্পাস সচলে জাবি উপাচার্যের কাছে ছাত্রলীগের স্মারকলিপি

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৯
ক্যাম্পাস সচলে জাবি উপাচার্যের কাছে ছাত্রলীগের স্মারকলিপি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলাসহ একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম সচলের দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

শাখা ছাত্রলীগের উপ-দফতর সম্পাদক এম মাইনুল হুসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

স্মারকলিপিতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার কারণে নিয়মিত শিক্ষা-কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে শিক্ষার্থীদের জন্য হল খুলে দেওয়াসহ পরীক্ষা ও শিক্ষা-কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে।

স্মারকলিপিতে তারা উপাচার্যের কাছে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হচ্ছে- আন্দোলন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন তালাবদ্ধ রাখা যাবে না, চলমান আন্দোলনে যেসব জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মী জড়িত রয়েছেন তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও রাষ্ট্রীয় আইনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

এদিকে দলীয় সূত্র জানায়, শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. জুয়েল রানাকে অবহিত না করেই এ স্মারকলিপি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হওয়ায় তিনি প্রথমে উপস্থিত ছিলেন না। তাই প্রথমে স্মারকলিপি গ্রহণ করেননি উপাচার্য।

পরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার আহ্বান জানান অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। তবে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল রানা উপাচার্যকে ফোন করে স্মারকলিপি গ্রহণ না করতে অনুরোধ করেন বলেও একাধিক ছাত্রলীগ নেতা অভিযোগ করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাখা ছাত্রলীগের এক সিনিয়র নেতা জানান, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই আমরা সভাপতির কাছে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাই। কিন্তু তিনি ‘বিষয়টা দেখছি’ বলে সময়ক্ষেপণ করেন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জোরালোভাবে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করার দাবি জানালে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্যোগ নিই।  

‘কিন্তু অনেক নেতার মাঝেই এ বিষয়ে সভাপতির প্রতি ক্ষোভ থাকায় তারা স্মারকলিপির ব্যাপারে সভাপতিকে কিছু জানাননি। পরে আমরা মঙ্গলবার উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিতে যাই। এসময় তিনি সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে স্মারকলিপি প্রদানের আহ্বান জানান। ’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম এজন্য হয়তো তারা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। ’ 

উপাচার্য স্মারকলিপি গ্রহন না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীরা হয়তো আমার ক্যাম্পাসে ফেরার বিষয়টি জানতেন না। তাই উপাচার্য বলেছেন, ‘তোমাদের নেতা তো ক্যাম্পাসে আছে। তাকে নিয়ে এসো। ’

এর আগে গত ৫ নভেম্বর দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে তার বাসভবনের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।