ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

উন্নত দেশে পৌঁছাতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবরেশন বাড়াতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১৯
উন্নত দেশে পৌঁছাতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবরেশন বাড়াতে হবে উন্নত দেশে পৌঁছাতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবরেশন বাড়াতে হবে

ঢাকা: ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে মানসম্পন্ন গবেষণার পাশাপাশি শিল্পখাতের সহযোগিতা (ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবরেশন) বাড়ানো প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, ২০৪১ সালে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের গোল দিয়েছেন। এই গোল অর্জনে স্থানীয় সমস্যা উদঘাটন ও এর সমাধানে মানসম্পন্ন গবেষণা করতে হবে।

এতে শিল্প ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা (ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোলাবরেশন) থাকতে হবে। যাতে ওই গবেষণার ফলাফল বা উদ্ভাবন মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো যায়।

রোববার (০১ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণির একটি অভিজাত হোটেলে চার দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. সাজ্জাদ হোসেন এসব কথা বলেন।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি ড. সাজ্জাদ হোসেনকে ক্রেস্ট তুলে দিচ্ছেন আয়োজকেরা।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তিখাতে বেশ এগিয়ে গেছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এখন বাস্তব। ভবিষ্যতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশন রেভ্যুলেশন মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এক্ষেত্রে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি), আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) ও রোবটিক্সের মতো বিষয়গুলোতে দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে।

‘আমাদের তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে। তাদের দক্ষ করে তুলতে হবে। আমাদের সে সুযোগও আছে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে। মানসম্পন্ন গবেষণা করতে হবে। আর তা অবশ্যই জনকল্যাণে হতে হবে। ’

অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লোকাল প্রবলেম সলভ নিয়ে কাজ করতে হবে। এক্ষেত্রে ইন্ড্রাস্ট্রি কোলাবরেশেনের বিকল্প নেই। লোকাল ইন্ডাস্ট্রি কোলাবরেশন বাড়াতে হবে, ইন্টারন্যাশনালি কোলাবরেশন বাড়াতে হবে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ঘন ঘন আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে জোর দেওয়ার ওপর গুরুত্বরোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আইইইই টেকনিক্যাল সোসাইটি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের উদ্যোগে এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

চারদিনে বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এগুলো হচ্ছে- বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ২০১৯, কম্পিউটার অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি ফর হেলথ ২০১৯, পাওয়ার ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেক্ট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাপ্লিকেশনস ২০১৯, রোবটিক্স, অটোমেশন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স অ্যান্ড ইন্টারনেট-অব-থিংস ২০১৯ এবং সিগন্যাল প্রসেসিং, ইনফরমেশন, কমিউনিকেশন অ্যান্ড সিস্টেমস ২০১৯।

এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল সিম্পোজিয়াম অন স্যোশাল ইমপ্লিকেশনস অব সাসটেনেবল টেকনোলজি ২০১৯,  সিগন্যাল প্রসেসিং সোসাইটি উইন্টার স্কুল অব মাল্টিমডেল সিগন্যাল প্রসেসিং, আইইইই বাংলাদেশ সেকশন ইন্ডাস্ট্রি ফোরাম ২০১৯, উইমেন টু উইমেন ইমপাওয়ারমেন্ট চ্যালেঞ্জ থ্রো হিউমানিটারিয়ান টেকনোলজি এবং আইইইই রোবটিক্স অ্যান্ড অটোমেশন সোসাইটি হ্যাকাথন ২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানস্থলে প্রধান অতিথি ড. সাজ্জাদ হোসেন।   সম্মেলনে দেশি-বিদেশি গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা সিগন্যাল প্রসেসিং, ইনফরমেশন টেকনোলজি, কমিউনিকেশনস, রোবটিক্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইলেক্ট্রনিক্স, এমবাডেড সিস্টেম, বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) বিষয়ে আলোচনা করেন।

পাশাপাশি এসব বিষয় নিয়ে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং গবেষণা ফলাফল, সমস্যা ও সেখান থেকে উত্তোরণের নানা বিষয়াদি নিয়েও কথা বলেন তারা।

সম্মেলনে দেশ-বিদেশের গবেষকদের ২০৩টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে। এর মধ্যে ১২৪টি প্রবন্ধ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হয়। এতে ভারত, মালয়েশিয়া, উরুগুয়ে, হংকং, আর্জেন্টিনা, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং জাপানের গবেষক ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

সম্মেলনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সিলিয়া শাহনাজ ও অধ্যাপক ড. শেখ এ ফাত্তাহ।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।