ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

‘এ’ ইউনিটে ফেল, সি’তে ১ম, শিক্ষার্থীর ভর্তি স্থগিত

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
‘এ’ ইউনিটে ফেল, সি’তে ১ম, শিক্ষার্থীর ভর্তি স্থগিত

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘সি’ ইউনিটের অ-বিজ্ঞান শাখার মানবিকে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম জালিয়াতি সন্দেহে স্থগিত করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার চিফ কো-অর্ডিনেটর ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. একরামুল হামিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

মো. হাসিবুর রহমান নামে ওই শিক্ষার্থী নিজের ইউনিট ‘এ’-তে (মানবিক, রোল-৫৪২৩৩) পেয়েছেন মাত্র ২০ নম্বর।

অথচ ‘সি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান, রোল-৮০৩১৮) অ-বিজ্ঞান শাখায় মানবিক থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে হাসিব পেয়েছেন ৮০ (এমসিকিউতে ৬০ এর মধ্যে ৫৪ ও লিখিত পরীক্ষায় ৪০ এর মধ্যে ২৬)। ফলাফলের এই অসঙ্গতি ভর্তি পরীক্ষা সংশ্লিষ্টদের নজরে আসায় তাকে গত ২৫ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরদিন সকালে হাসিবকে পুনরায় আসতে বলা হয়। কিন্তু পরদিন হাসিব আসেননি।

‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার চিফ কো-অর্ডিনেটর ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন একরামুল হামিদ বলেন, হাসিব এ ইউনিটে মাত্র ২০ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু সি ইউনিটে তিনি সর্বোচ্চ নম্বর ৮০ পেয়েছেন। এ তথ্যটি জানার পর সন্দেহ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে ঠাণ্ডা মাথায় সবকিছু চিন্তা করে পরদিন সকালে এসে আসল তথ্য জানাতে বলা হয়। কিন্তু তারপর দু’দিন হয়ে গেলেও তিনি আসেননি। তার ফোন নম্বরও বন্ধ।

তিনি আরও বলেন, সেদিন তার হাতের লেখাও পরীক্ষা করা হয়েছে। তার হাতের লেখাও সন্দেহজনক মনে হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাতেও তিনি খুব বেশি উত্তর দিতে পারেননি। একটু গরমিল মনে হয়েছে। পরে তার ‘এ’ ও ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষার দু’টি খাতাও দেখা হয়েছে। সেখানেও তার হাতের লেখায় গড়মিল দেখা গেছে। সবমিলিয়ে জালিয়াতির সন্দেহে তার ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছি।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।