ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

তরুণদের দক্ষ করে বিশ্বে রোল মডেল হবে বাংলাদেশ: ড. সাজ্জাদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
তরুণদের দক্ষ করে বিশ্বে রোল মডেল হবে বাংলাদেশ: ড. সাজ্জাদ

ঢাকা: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য তথ্যপ্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ অবস্থায় যদি আমাদের সম্ভাবনাময় বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারি তাহলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছা সহজ হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে। তবেই বিশ্বে বাংলাদেশ হবে একটি রোল মডেল। 

শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ডিজিটাল বাংলাদেশ সামিট-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, দ্য চায়না ইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজি গ্রুপ করপোরেশন, এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ইয়ুথ ভলান্টিয়ার্স সোসাইটি, দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ এবং ওয়ান বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এ সামিটের আয়োজন করা হয়।

 

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তরুণদের নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে হবে। কাউকে অনুকরণ করে নয়, নিত্যনতুন রিসার্চকে কাজে লাগিয়ে ইনোভেশন (উদ্ভাবন) করতে হবে। যা হবে অবশ্যই জনকল্যাণমুখী। স্থানীয় সমস্যার সমাধান হবে, বৈশ্বিকভাবে কাজে লাগবে।  

‘আমাদের রয়েছে বিপুল জনগোষ্ঠী। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়নের পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার দিকে এগোতে হবে। ’ 

অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাদের একটি ফ্রেমওয়ার্ক করে দিয়েছেন। সেই ফ্রেম অনুযায়ী, উন্নত বিশ্বে পৌঁছাতে আমাদের মাথাপিছু আয় ১৫ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেতে হবে। বর্তমানে তা প্রায় ২ হাজার ডলারের মতো আছে। ’ 
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা।  তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশনগুলো বাস্তবায়নে এবং উন্নয়ন বিশ্বে পৌঁছাতে মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে। আর এটা সম্ভব তরুণদের মানবসম্পদ হিসেবে রূপান্তরের মাধ্যমে। কারণ তারাই তো ভবিষ্যতে সবখাতে নেতৃত্ব দেবে।

‘প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১, ২০৩০, ২০৪১ ও শতবর্ষব্যাপী ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে ও ডিজিটাল তথা দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্থপতি হিসেবে কাজ করছেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে কোলাবরেশন বাড়াতে হবে। ’

অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদেরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। কেননা সবার অংশগ্রহণেই পারে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে। আমাদের তাই করতে হবে।  

সামিটের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আর বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর ও সামিট আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রাশিদুল হাসান।  

এর আগে সকালে সামিটের প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।