ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

৫ সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৬৪ জেলার ‘মেন্টর’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
৫ সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৬৪ জেলার ‘মেন্টর’

ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের পাঁচজন সচিব ও কয়েকজন অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৬৪ জেলায় দায়িত্ব পালন করবেন। নিজ নিজ জেলার এসব কর্মকর্তারা ওই জেলার গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণসহ তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে হবেন ‘মেন্টর’।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন নিজ জেলা মাগুরায় দায়িত্ব পালন করবেন। সাতক্ষীরায় দায়িত্ব পালন করবেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস।


 
দিনাজপুর জেলার দায়িত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী নওগাঁ জেলা এবং চাঁদপুরের দায়িত্বে ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান এবং পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আবুল কালাম আজাদ ভোলার দায়িত্ব পালন করবেন।
 
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ৬৪ জেলার কর্মকর্তাকে নিজ নিজ জেলার মেন্টর নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করেছে।
 
আদেশে বলা হয়, গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা ও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে নতুন প্রজন্মকে দক্ষ এবং প্রযুক্তিনির্ভর মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ইতোপূর্বে ৬৪ জেলায় একজন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিবীক্ষণ করার জন্য মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বর্তমানে বদলি ও অবসরজনিত কারণে পূর্ববর্তী সব আদেশ বাতিল করে দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করা হলো।
 
মেন্টরদের একাডেমিক কাজের মধ্যে রয়েছে, শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ কর্মসূচি প্রত্যেক বিদ্যালয়ের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর পালন নিশ্চিতকরণ; শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য রিডিং, রাইটিং, স্পিকিং ও লিসেনিংয়ের ওপর গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আনা এবং ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ কর্মসূচির আওতায় প্রয়োজনে জেলায় জেলায় মেধাবী শিশুদের পুরস্কারের জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
 
শিক্ষকরা লেসন প্ল্যান অনুযায়ী ক্লাস নিচ্ছেন কিনা তা দেখা; ছাত্র শিক্ষকদের নিয়মিত আইসিটি, ল্যাপটপ ব্যবহারে অগ্রণী ভূমিকা পালন; ছাত্রদের একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চায় উদ্বুদ্ধকরণ এবং মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের আওতায় ২১ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা কার্যক্রম তদারকি করতে হবে।
 
এছাড়াও নির্ধারিত বিদ্যালয়গুলোর স্কুল ফিডিং প্রকল্পের কার্যক্রমের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মায়েদের দেওয়া টিফিনবক্সে মিড-ডে মিল কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য রাখা; প্রয়োজনে অভিভাবক ছাত্র-শিক্ষক সদস্যদের অংশগ্রহণে মহাসমাবেশের আয়োজন করে সেখানে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে হবে।
 
এছাড় ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্যের দিকে শিক্ষকদের নজর দেওয়া; বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক, টয়লেটসহ বিদ্যালয়ের আঙিনা পরিষ্কার করা এবং বিদ্যালয় ইউনিফর্ম পরে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
 
প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে প্রত্যেক কর্মকর্তারা অগ্রগতি উপস্থাপন করবেন বলে আদেশে বলা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।